বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। আগামী ৮ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে তার ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। এটি পরীর প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর শুরু থেকেই কাজটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী। গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরিজটির ট্রেলার উদ্বোধনীর মঞ্চে উপস্থিত হয়েও সেকথা জানান পরী। কিন্তু পরীর এই আনন্দ মন খারাপে রূপ নিল ওদিন রাতেই। একমাত্র ছেলে পূণ্য আহত হওয়ায় ভালো নেই এই অভিনেত্রীও।
গেল বুধবার রাতে ছেলের আহত হওয়া একটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেন পরীমণি। ছবিতে দেখা যায়, পূণ্য’র চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে, চোখের ওপরটা লাল হয়ে আছে। আর ছেলেকে নিয়ে পরীকে ছুটতে হয়েছে হাসপাতালেও।
এক ফেসবুক পোস্টে পরী জানান, বাসায় না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনাঘটেছে। তবে বাড়িতে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কেউ স্বীকার করছেন না, কীভাবে ব্যথা পেয়েছে পূণ্য।
পরীর কথায়, ‘আপনার অনেকেই হয়ত জানেন যে, গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ “রঙ্গিলা কিতাব”র ট্রেলার লঞ্চিংয়ের আয়োজন ছিলো। সেখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাইনি বা নিতে চাইনি। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো, আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রাউড ফেইস করুক। দ্বিতীয়ত, আমি আমার ছেলের জন্য দ্বায়িত্বরত তিনজন মানুষের একটা সুন্দর/ প্রোপারলি দ্বায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফেইলড! আমার ছেলে টা ইনজুরড।’
ছেলে কীভাবে ব্যথা পেয়েছে সেটা এখনও জানতে পারেননি এই অভিনেত্রী। পরী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি- ইঞ্জুরড কীভাবে হয়েছে? কেউই সত্যি/ ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর, আমি/ আমরা কিছু জানিনা। কই কি হয়েছে দেখি তো। আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী আগুন লাগাতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।’
এরপরের পরিস্থিতি উল্লেখ করে পরীমণি লিখেছেন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি ছেলের এক চোখ আর খোলে না! কি করব বুঝতে পারি না। এভারকেয়ার হসপিটাল থেকে বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ছুটতে থাকি… এত অসহায় লাগছিল আমার।’
বর্তমানে ছেলে সুস্থ আছে জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘যাই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতো। কি করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এত ধৈর্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে…! আল্লাহ মহান! আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়ত। কিন্তু আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।