বিনোদন ডেস্ক : আমি বিয়ে করেছি আমার বাচ্চাও আছে। আমার কাছের মানুষরা সবাই জানে। এটা আমি আড়াল করিনি। শুভকে তালাক দেওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে আমি ১ কোটি টাকা দেনমোহর নেওয়ার জন্য এমনটা করেছি। কিন্তু ওর কী ক্ষমতা আছে এক টাকা আমাকে দেওয়ার। আমি ওর কাছে মুক্তি পাওয়ার জন্য তালাক দিয়েছি। সে একজন প্রতারক। প্রতারণার স্বীকার অনেক মানুষ আমার কাছে প্রতিনিয়ত আসে।
বলছিলেন নাটোকের অভিনেত্রী ফারজানা আহসান মিহি। মিহি আহসান ব্যবসায়ী শুভ চৌধুরী (মো. জাহাঙ্গীর কামাল) বিয়ে করেছিলেন ১ কোটি টাকা দেনমোহরে। বিয়ে করে বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামী ও সন্তান নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় সংসার করছিলেন মিহি। বিষয়টি শোবিজ দুনিয়ায় কাজ করলেও মিহি ও সন্তানের বিষয়টি আড়াল ছিল। তালাকের চিঠি পেয়ে শুভও মিহির বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ আনেন। মিহি নাকি একাধিক নাটকের পরিচালকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
তবে এসব অস্বীকার করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে কলেজে পড়ার সময় সে আমাকে মিথ্যা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। নিজের প্রথম বিয়ে গোপন করে আমাকে বিয়ে করে। আমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল ১ লাখ টাকা দেনমোহরে। কিন্তু তার গোপন বিয়ের খবর জেনে যাওয়ার পর সে আমাকে বলে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু নিয়মিত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।
ফলে আমি আমার মায়ের বাসায় চলে আসি। ২০১৯ সালের ঘটনা এটা। তখনই আমি তাকে তালাকের চিঠি দেই। এর ৯০ দিনের মধ্যে সে আমাকে যেকোনো মূল্যে গ্রহণ করতে রাজি হয়। আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে সে আমার কাছে চলে আসে এবং ১ কোটি টাকা দেনমোহর দিয়ে সে নিজেই আমার বিশ্বস্ততা অর্জন করার চেষ্টা করে।’
শুভ কখনোই সংসার করতে চায় না। সে সংশোধন হবে না, প্রতারণা ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত থাকবে। ফলে সংসার হবে নাÑ এমনটাই জানিয়ে মিহি বলেন, ‘তাকে ব্যবসা করার জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা নিয়ে দুবাই গেছেন। সেখানেও মামলা খেয়েছেন তিনি। বুঝতে পেরেছি সংসার সম্ভব না। আমি তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি গত ৩০ জুন, যা কার্যকর হতে ৩ মাস সময় লাগবে। দীর্ঘ সময় ধরে তার সঙ্গে আমার ঝামেলা চলছে। তাকে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছি আমার নামে ভিত্তিহীন কথা বলার জন্য। তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলাও করেছি, সেটি তদন্ত চলছে।’
মিহির স্বামীর দাবি, স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ১ ডজন নাটক প্রযোজনা করেছেন। তবে স্বামীর প্রযোজনায় মাত্র একটি নাটকে কাজ করেছেন, ‘তুমি রবে মনে’ নামের নাটকটিতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলে জানান মিহি।
অনেক ভেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফারজানা আক্তার মিহি। ১ কোটি টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ৩০ ভরি অলংকার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি দেয়নি বলে উল্লেখ করেন এই অভিনেত্রী। যে অলংকার দিয়েছিল সেটি বিয়ের পর স্বামী চুরি করে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে মিহির অভিযোগ।
শুভ বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে ব্যবসার কাজে দুবাই আছি ঠিক তবে, আগামী মাসে দেশে আসব। সে যেসব অভিযোগ করেছে সত্য নয়। আমার গার্মেন্টস ব্যবসা আছে। ট্রেড লাইসেন্স আছে। তবে ব্যবসায়িক একটা চেক নিয়ে মামলা হয়েছিল তা পরবর্তী সময়ে সমাধান হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।