বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সারের হয়ে খেলতে গিয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছুটা অবৈধ বোলিং অ্যাকশন করেছিলেন-যার ফলেই তার অ্যাকশন সন্দেহজনক হিসেবে রিপোর্ট হয় এবং পরে নিষিদ্ধও হন তিনি।

গত বছরের ডিসেম্বর লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীন পরীক্ষায় তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হলে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সেই নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কার্যকর হয়।
বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটু অবৈধ অ্যাকশন করছিলাম, কারণ এক ম্যাচে ৭০ ওভারের মতো বল করেছিলাম। আমার টেস্ট ক্যারিয়ারে কখনো এত ওভার করিনি। সারের হয়ে সোমারসেটের বিপক্ষে টনটনে ওই চার দিনের ম্যাচ খেলছিলাম। আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম।’
‘পাকিস্তানে টানা দুটি টেস্ট খেলেছি। সিরিজ জিতে আমি ইংল্যান্ডে গিয়ে ওই ম্যাচগুলো খেলছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, আম্পায়ার অন্তত প্রথমে আমাকে সতর্ক করতে পারত। তবে নিয়ম যা, তাই। তাদের অধিকার ছিল। আমি অভিযোগ করিনি।’
সাকিব আরও বলেন, ‘টেস্ট দিতে গেলাম, ফেল করলাম। পরে নিজের টেস্ট দেখলাম-ঠিক আছে, এমনটাই হচ্ছে। এরপর দু-এক সপ্তাহ ট্রেনিং করলাম, তারপর আবার সারে গেলাম। তারা খুব সাহায্য করেছে। মাত্র দুই সেশনেই আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। মনে হলো-‘এ তো কত সহজ!’
সারের হয়ে গত মৌসুমে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব, যেখানে তিনি মোট ৬৩.২ ওভার বল করেন-প্রথম ইনিংসে ৩৩.৫ ওভার এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯.৩ ওভার। এ বছর তৃতীয়বারের মতো লাফবোরোতে বোলিং মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাকে আবার বোলিং করার অনুমতি দেওয়া হয়।
ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া খতিয়ে দেখার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের
এর আগে তিনি চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন, যার পর বিসিবি নির্বাচকরা তাকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে নেননি-যদিও বোর্ড জানিয়েছিল, ব্যাটার হিসেবে তিনি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব ফরম্যাটেই খেলতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



