বিনোদন ডেস্ক : কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমান কে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর আগে দগ্ধদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
(আইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অনাকাক্ষিত ঘটনার শিকার দগ্ধরা চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন সুস্থ হয়েছেন। কৌতুক অভিনেতা রনি আবারও আপনাদের মাঝে ফিরে যাবে।
চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই দগ্ধ রনিসহ পুলিশ কনটেস্টের প্রতি। আমরা প্রয়োজনে তাদের সিঙ্গাপুর পাঠাতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তারা এই হাসপাতালের প্রতি আস্থা রেখেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট ভালো চিকিৎসা দেয়ার ফলে আজ আস্থার স্থান গড়ে তুলেছেন।’
বার্ণ ইনিস্টিউটের সমন্বয়ক ডাঃ সামান্ত লাল সেন বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এটা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তাদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যায় পুলিশ বহন করেছেন। ’
সুস্থ হওয়া কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি বলেন, ‘মানি ইজ এ সেকেন্ড গড। ’ এখন আমি বলবো ‘ডাক্তার ইজ এ সেকেন্ড গড। ’ পুলিশ, চিকিৎসক, নার্স সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহর দয়া ও তাদের কারনেই আজ নতুন জীবন পেয়েছি। তাদের প্রচেষ্টায় ও বাংলাদেশের মানুষের দোয়ায় আজ আমি আপনাদের মাঝে। ’
ঘটনার আগ মুহুর্তে আপনি কি দেখেছিলেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের আগ মুহুর্তে ঘটনাটি ঘটে। বেলুনের গ্যাস গুলো হয়তো ভালো ছিল না। এছাড়াও ঐটার ওজন হয়তো বেশি হয়ে গেছে। উড়তে পারছিল না। তাই বেলুনের ঐ লোক ওজন কমানো জন্য কিছু অংশ কমাতে গিয়ে ম্যাচ লাইটার দিয়ে রশি ছুটাতে চেয়েছিলেন। তা না করে যদি কেচি দিয়ে কাটতো, তাহলে আর এ ঘটনাটি ঘটতো না। আমার সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। ’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হয়। এতে কৌতুক অভিনেতা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ ও আহত হন। এ ঘটনায় আহত বাকিরা হচ্ছেন জিল্লুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন। তাদের কে প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে রনির শরীরের ২৫ শতাংশ ও জিল্লুরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের চিকিৎসার জন্য ১৩ সদস্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রনি ও জিল্লুর রহমান এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।