বিনোদন ডেস্ক : জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই এর মধ্যে দিয়ে গেছেন তুমুল জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। এক জীবনে তার প্রাপ্তির তালিকাও অনেক বড় হলেও একটি আক্ষেপ থেকেই যাবে। সেটি হচ্ছে তিনি কখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। খবর বিবিসি’র।
সংবিধানে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে গেলে অবশ্যই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে। কিন্তু আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার তা নন। তার জন্ম অস্ট্রিয়ার থাল নামের একটি শহরে। ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায়ই ছিলেন তিনি। তারপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
সম্প্রতি বিবিসির সাংবাদিক কলিন প্যাটারসনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তার অযোগ্যতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার দাবি করেছেন যে যদি সুযোগ থাকত তাহলে তিনি চমৎকার একজন প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন।
শোয়ার্জনেগার বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি একজন ভালো প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম!’ তবে এখনই প্রেসিডেন্ট হওয়ার সব আশা ত্যাগ করছেন না ৭৬ বছর বয়সী এ অভিনেতা। তিনি মনে করেন, সংবিধান সংশোধনের সুযোগ আছে। কখনো হয়তো অভিবাসীসংক্রান্ত এসব আইনের সংস্কার হবে।
তবে এ আইন পরিবর্তনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলে জানান শোয়ার্জনেগার। তিনি বলেন, ‘আমি যদি আইনটি পরিবর্তনের চেষ্টা করি, তবে তা কিছুটা স্বার্থপরের মতোই আচরণ হবে।’
উল্লেখ্য, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক অর্জনও কম নয় আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের। ২০০৩-১১ সালের মধ্যে দুই মেয়াদে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ আপাতত নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।