বিনোদন ডেস্ক : হিন্দি টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনিতা হাসানন্দানি। ‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতিন’, ‘নাগিন’-এর মতো সিরিজে অভিনয় করে নজর কাড়েন। এরপর বলিউড ও দক্ষিণের বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন আনিতা।
কয়েক দিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যম হাটারফ্লাইকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আনিতা। এ আলাপচারিতায় প্রেমজীবন, সংসার জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তার যৌন জীবন পরিবর্তন হওয়ার গল্পও শুনিয়েছেন ‘হিরো’খ্যাত এই নায়িকা।
আনিতা ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। চলতে চলতে সহ-অভিনেতা এজাজ খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আনিতা। অসম এই প্রেমের বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যে এটি (এজাজ খান) ছিল দীর্ঘতম। এ সম্পর্কের জন্য আমি আমার মায়ের বিরুদ্ধেও চলে গিয়েছিলাম। কারণ সে অন্য ধর্মের ছিল। সে ছিল মুসলিম, আমি হিন্দু। যদিও আমার মা আমাকে এ সম্পর্কের বিষয়ে পুরোপুরি নিষেধ করেননি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সবসময়ই সতর্ক থাকতেন। শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটি টিকেনি।’
প্রেমিক এজাজ খানের জন্য নিজেকে বদলেছিলেন আনিতা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালোবাসার জন্য কেউ কেউ আপনাকে পরিবর্তন করতে চাইবে। আসলে এটাকে ভালোবাসা বলে না। কিন্তু ওই সময়ে আমি এটা উপলদ্ধি করতে পারিনি। কারণ আমি প্রেমে পড়েছিলাম। আমি যার প্রেমে পড়েছিলাম তার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন হতে ইচ্ছুক ছিলাম।’
প্রেম জীবনের ইতি টেনে সংসার জীবনে পা দিয়েছেন আনিতা। ২০১৩ সালে রোহিত রেড্ডিকে বিয়ে করেন তিনি। সংসার জীবনে ভালো সময় পার করছেন এই দম্পতি। আনিতা মনে করেন, ব্যক্তিগত জীবনে সঙ্গীকে নিজের ইচ্ছার কথা খোলামেলা জানানো উচিত।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আনিতা বলেন, ‘নিজেকে প্রকাশ করার মাঝে আমি ভুল কিছু দেখি না। আপনি যদি সুখী হতে চান, তবে আপনার সঙ্গীকে আপনার ইচ্ছার কথা বলুন। সে উপলদ্ধি করবে, সেই পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। অপেক্ষায় থাকলে কেবল সময়ই নষ্ট হবে। একটি ভালো সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমি মনে করি, আপনি যদি তাকে ভালোবাসেন, তবে আপনি আপনার ইচ্ছার কথা তাকে জানান।’
২০১৩ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়নে আনিতা-রোহিত। বিয়ের পর কেটে গেছে ১১ বছর। ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের মা হন আনিতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।