বিনোদন ডেস্ক : ভারতবর্ষের সিনেমা জগতে এখন রাজত্ব করছে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা। প্রথমে পুষ্পা তারপর আরআরআর! করোনা পরবর্তী অবস্থা থেকে ভারতীয় সিনেমাকে দাঁড় করানোর পিছনে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অবদান অস্বীকার করা যাবেনা। আরআরআর-এর মধ্য দিয়ে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন এই সিনেমার পরিচালক এস এস রাজামৌলি! বাহুবলী-টু’এর সাফল্যের থেকেও এই সিনেমার সাফল্য যেন কয়েক গুণ বেশি।
বিপুল খরচে নির্মিত আরআরআর-এ তেলুগু সিনেমা জগতের দুই মহারথীকে একসঙ্গে এই সিনেমায় কাস্ট করেছেন এস এস রাজামৌলি। রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর-এর মতো দুই অভিনেতার দক্ষিণ ভারতে ভক্ত সংখ্যা অগনিত! আলিয়া ভাট, অজয় দেবগন অভিনীত এই সিনেমা প্রথম দিন থেকেই বক্স অফিসে ব্যাপক ঝড় তুলেছে এই সিনেমা। মাত্র প্রথমদিনেই সারা বিশ্বে এই ছবির কালেকশন ছিল ২২৩ কোটি ভারতীয় মুদ্রা।
আর প্রথম তিনদিনেই ৫০০ কোটি টাকা আয় করে নেয় এই ছবি। আর মাত্র ১১ দিনেই এই ছবি ১০০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে। সেই সাফল্য উদযাপিত হল মুম্বইতে। আর তা উপলক্ষ্যে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক এসএস রাজামৌলি, রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআর। আর সেই সেলিব্রেশন পার্টিতে খালি পায়ে হাজির হন রামচরণ। শুধুমাত্র সেখানেই নয় সব জায়গাতেই খালি পায়েই দেখা মিলছে তাঁর! কিন্তু কেন?
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৪১ দিনের ব্রত পালন করেন রামচরণ। কেরলের শবরীমালা মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার আগে ভক্তদের ৪১ দিন ধরে আয়াপ্পা ঠাকুরের উদ্দ্যেশ্যে কঠোর নিয়ম মেনে এই ব্রত পালন করতে হয়। বাবা চিরঞ্জীবীর মতো রামচরণও এই ঠাকুরের ভক্ত!
এই ব্রত অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হয়। এই ব্রত করাকালীন ৪১ দিন খালি পায়ে থাকতে হয়। কালো পোশাক ভিন্ন অন্য কোনও পোশাক পরা যাবেনা। আমিষ খাওয়া ও মদ্যপান নিষিদ্ধ। এছাড়া এই ব্রত চলাকালীন মাটিতে ঘুমতে হয়। চুল দাড়িও কাটাও নিষিদ্ধ। আর প্রতি বছর কঠোরভাবে এই নিয়ম পালন করেন রামচরণ!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।