বিনোদন ডেস্ক : এমন অনেক সিনেমাই আছে, যেটি রাতারাতি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালের কেয়ামত সে কেয়ামত তক এর মধ্যে অন্যতম। আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত সিনেমাটি সে সময় বক্স অফিসে সুপার হিট হয়েছিল।
কেয়ামত সে কেয়ামত তক সিনেমাটির গান সে সময় সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। খ্যাতনামা শিল্পী উদিত নারায়ণ ও অলকা ইয়াগনিকের গান ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। রাজ জুটশি অভিনয় করেছিলেন এ সিনেমায় আমিরের কাজিনের ভূমিকায়। এর পর থেকে দুজনের মধ্য বন্ধুত্ব তৈরি হয়। বেশকিছু সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন আমির ও রাজ।
গত বছর লাগান-এর ২০ বছর পূর্তিতে এক সাক্ষাত্কারে রাজ জুটশি জানান, কেয়ামত সে কেয়ামত তক সিনেমাটি তাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। সঙ্গে যোগ হয় বেশকিছু মজার অভিজ্ঞতা।
রাজ বলেন, ‘১৯৮৮ সালে অনেক নতুন মুখ কাজ করেছিল কেয়ামত সে কেয়ামত তক সিনেমায়। ভারতীয় সিনেমায় ইতিহাস করেছিল এটি। ৫০ সপ্তাহ ধরে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটির শো চলেছিল। কেয়ামত সে কেয়ামত তক-এর পরিচালক মনসুর খান সিদ্ধান্ত নেন, দর্শকদের আরো কাছে যাওয়ার জন্য সিনেমার অভিনেতাদের নিয়ে বিভিন্ন শহরে যাবেন। আমরা দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের মতো জায়গাগুলোয় গিয়েছিলাম। আমির খান, জুহি চাওলা, পরিচালক মনসুর খান ও প্রযোজক নাসির হুসেনসহ আমরা বেরিয়েছিলাম। দর্শকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। তারা বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল আমির আর জুহিকে দেখে।’
রাজ আরো বলেন, ‘কাছের সিনেমা হলগুলোয় আমরা যেতে চাচ্ছিলাম, যাতে অনেকগুলো হলে যাওয়া সম্ভব হয়। সে ভাবনা থেকে আমরা বেঙ্গালুরু সফরে বের হই। কিন্তু দর্শকরা আমাদের ছাড়তেই চাচ্ছিল না। আমরা হল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠি। আর আমাদের তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া দেখে দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের গাড়িতে একটি ইট ছুড়ে মারে। এতে গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায় এবং ভাঙা কাচের টুকরো থেকে কয়েকজন আহত হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।