সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : গত শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টন এলাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানাজার নামাজ শেষে তার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার(২৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ মাগরিব আমিরুলের জানাজার নামাজ শেষ হয়। পরে উপজেলার কেন্দ্রীয় কবস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজের বর্মতান বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে। তবে তার আদি বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে।
জানা গেছে, পারভেজ ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশে চাকরি পান। চাকরির কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় স্ত্রী রুমা আক্তার ও সাত বছরের মেয়ে তানহাকে নিয়ে শাহজাহানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এদিকে আজ বিকেলে নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজের জানাজায় অংশ নিতে দৌলতপুর সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দর্জয়। এসময় দুর্জয় আমিরুলের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা সহায়তা করার কথা জানান।
পারভেজের মরদেহ বহনকারী গাড়ি দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার মা-বাবাসহ আত্নীয় স্বজনেরা। আজ বেলা সাড়ে চারটার দিকে ঢাকায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ লাশবাহী গাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে পৌঁছায়। এর পর পরই দৌলতপুরবাসী তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেন। এসময় কান্না ধ্বনিতে ভারি হয়ে পড়ে চারপাশ। বড় ভাইকে হারিয়ে হাও মাও করে কান্না করছেন ছোট ভাই বিপ্লব, বোন সেফালি, স্ত্রী রুমা ও মেয়ে তানহা।
পারভেজের জানাজায় জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপিত, সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নিহতের স্বজনেরাসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।