বিনোদন ডেস্ক : প্রেমিকা থাকলে হয়তো তাঁর স্বামী রোম্যান্টিক হতে পারতেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে কখনও এমন কোনও আচরণ করেননি। যে সুপুরুষ অভিনেতাকে এক সময় স্বপ্ন দেখত আসমুদ্রহিমাচল, আশির উপর বয়স হলেও যাঁর কণ্ঠস্বর, অভিনয় আজও হৃদয় উদ্বেল করে, সেই অমিতাভ নাকি রোম্যান্টিক নন! স্ত্রী জয়ার বক্তব্য অন্তত তাই।
তবে এই বক্তব্য সাম্প্রতিক নয়। ১৯৯৮ সালে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে এক সাক্ষৎকার অনুষ্ঠানে জয়া স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী মোটেও রোম্যান্টিক নন, অন্তত তাঁর সঙ্গে তো কোনও সময়েই ছিলেন না।
জয়া-অমিতাভের প্রেমকাহিনি শুরু হয়েছিল ‘গুড্ডি’র সেটে। সেটা ১৯৭১ সাল। তার পর ১৯৭২ সালে ‘এক নজর’ ছবি থেকেই তা পরিণতির দিকে এগোতে শুরু করে। দর্শকমহলেও এই প্রেম যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ছিল। পর্দা হোক বা বাস্তব, সব ক্ষেত্রেই তাঁরা উজ্জ্বল। যদিও বাস্তব জীবনে নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েও তাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন ৫১ বছর। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
সে বার সিমি সরাসরি জয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, অমিতাভ আদৌ রোম্যান্টিক কি না। জয়ার উত্তরের অপেক্ষা না করেই অমিতাভ বলে বসেন, ‘‘না।’’ আর তার পরেই জয়ার তরফ থেকে ধেয়ে আসে উত্তর, ‘‘আমার সঙ্গে না।’’
এর পর অমিতাভ জিজ্ঞাসা করেন, আসলে এই রোম্যান্টিক বলতে কী বোঝায়। জয়া উত্তর দেন, ভালবাসার মানুষকে চমকে দিয়ে ফুল বা উপহার দেওয়া ইত্যাদি। বিগ বি স্বীকার করে নেন, এমন তিনি করেননি কখনও।
জয়া জানান, অমিতাভ আসলে খুব লাজুক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করেননি কখনও। তবে অমিতাভের প্রেমিকা থাকলে এমন করতে পারতেন বলে জানান জয়া।
তা হলে কি প্রেম পর্বেও জয়ার প্রতি কোনও রোম্যান্টিক আচরণ করেননি অমিতাভ? সিমিকে বিগ বি স্পষ্টই বলেন, ‘‘এ সব করে সময় নষ্ট করার কোনও মানেই হয় না।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।