বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে আশি-নব্বই দশক মাতানো জনপ্রিয় জুটি অমিতাভ-শ্রীদেবী। তাঁদের অভিনীত ছবির সংখ্যা কম হলেও যতবার পর্দায় এসেছেন ততবারই দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। বেশির ভাগ ছবিই ছিল সুপারহিট। সম্প্রতি প্রয়াত নায়িকা শ্রীদেবীর জীবনীগ্রন্থ ‘শ্রীদেবী: দ্য ইটারনাল স্ক্রিন গডেজ’-এর নতুন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। বিগ-বি নাকি শ্রীদেবীকে একবার গোলাপ পাঠিয়েছিলেন। একটি-দুটি-তিনটি নয়, এক ট্রাক ভর্তি গোলাপ পাঠিয়েছিলেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারণ। ১৯৯২ সালে মুক্তি পেয়েছিল অমিতাভ-শ্রীদেবী জুটির ছবি ‘খুদা গওয়াহ’। প্রথমদিকে এই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না শ্রীদেবী। কিন্তু অমিতাভ নাছোড়বান্দা। অভিনেত্রীকে রাজি করাতে তিনি নাকি এক ট্রাক গোলাপ পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তারপরেও নায়িকা রাজি হননি! উল্টো অমিতাভকে অন্য শর্ত জুড়ে দেন শ্রীদেবী। পুরো বিষয়টি খোলসা করেছেন প্রয়াত নৃত্য প্রশিক্ষক সরোজ খান।
শ্রীদেবী জানান, এই ছবিতে তিনি অভিনয় করবেন; তবে তাঁকে মা ও মেয়ে এই দ্বৈত চরিত্রেই অভিনয় করার সুযোগ দিতে হবে। শেষে অমিতাভ ও পরিচালক মুকুল এস আনন্দ রাজি হয়েছিলেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন ছবিতে শ্রীদেবীর উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই ফলাফলও বক্স অফিসে পাওয়া গিয়েছিল। ওই বছর বক্স অফিসে বাজিমাত করেছিল এই জুটির খুদা গওয়াহ ছবিটি।
দেশের নাম বদলের প্রস্তাবে সায়! অমিতাভের পোস্টে উত্তেজনাদেশের নাম বদলের প্রস্তাবে সায়! অমিতাভের পোস্টে উত্তেজনা
সরোজ খান জানিয়েছেন, অমিতাভ-শ্রীদেবীকে মাথায় রেখে ‘রাম কি সীতা শ্যাম কি গীতা’ ছবির কথা ভেবেছিলেন নির্মাতা রমেশ সিপ্পি। যেখানে দু’জনেরই দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল। এমনকি এ ছবিতেই জনপ্রিয় ‘ঝুমা চুম্মা’ গানটিকে রাখার পরিকল্পনা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত সিনেমাটি আর বাস্তবায়িত হয়নি। পরে ১৯৯১ সালে অমিতাভ বচ্চন ও কিমি কাতকার অভিনীত ‘হম’ ছবিতে এ গান ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক মুকুল এস আনন্দ।
অমিতাভ-শ্রীদেবী জুটির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আরও রয়েছে ‘ইনকিলাব’ ও ‘আখরি রাস্তা’। এ ছাড়া শ্রীদেবী অভিনীত ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে ছিলেন অমিতাভ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।