জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি মৌসুমে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাজারে প্রতি মণ ধানের দামও ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই দামেও সন্তুষ্ট নন বগুড়ার কৃষকরা।
ইরি মৌসুমে অসময়ের বৃষ্টির কারণে সোনালি ফসল মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারেননি বগুড়ার কৃষকরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। আমন ধানেও ফলন আশাতীত হয়েছে। প্রতি বিঘায় গড়ে প্রায় ১৮ মণ ধান পেয়েছেন বগুড়ার কৃষকরা।
গত বছর ডিসেম্বরে প্রতি মণ ধানের দাম ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। এ বছর সে ধানের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
তবে আড়তদাররা দাম বাড়তির কথা বললেও এ দাম নিয়ে সন্তুষ্ট নন বেশিরভাগ কৃষক। তারা বলেন, যে ধান উৎপাদন করতে ১০ টাকা খরচ হয়, সে ধান ৭ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে ধানের দাম কমলে আমরা কীভাবে বাঁচব? এদিকে সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের বাড়তি উৎপাদন খরচ গুনতে হয়েছে।
চলতি মৌসুমে জ্বালানি তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়েছে। প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে কৃষককে গুনতে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর ধান রোপণে কৃষকের খরচ হয় ১ হাজার ২০০ টাকা, ইউরিয়া সারে ৪২০ টাকা, ডিএপি সারে ৪৮০, পটাশ সারে ৪৮০ টাকা, কিটনাশকে ৩ হাজার টাকা, আগাছ পরিষ্কার বাবদ ১ হাজার টাকা, ধান কাটতে ৩ হাজার ২০০ টাকা, ধান মাড়াই বাবদ ৫০০ টাকা এবং পরিবহন ও আনুষঙ্গিক বাবদ ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি বিঘায় ধান চাষে কৃষককে গুনতে হয়েছে ১১ হাজার ৯৮০ টাকা। তাছাড়া অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
এ বছর কৃষকের সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় অন্তত ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে বলে দাবি করেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোছা. রাহেলা পারভীন।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। যার মধ্যে ৮৮ শতাংশ জমির ফসল কৃষকের ঘরে উঠেছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।