স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বেশির ভাগের পাঁচ দিনের টেস্ট খেলার মতো ফিটনেস নেই বলে মনে করেন অনেকে। স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই তো বলেছিলেন, ক্রিকেটাররা প্রথম চার দিন ভালোই খেলে, তারপর থেকে খেই হারিয়ে ফেলে।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কিন্তু এমনটা মনে করেন না। আজ বৃহস্পতিবার ৫ উইকেট নেওয়ার পর তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসে রসিকতার ছলে তুলে ধরেন যে, টেস্টে ব্যর্থতার প্রধান কারণ মানসিক সমস্যা।
সাকিব বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে যে সে নিজেকে কোন জায়গায় ফিট মনে করে। আসলে ম্যাচ ফিট আর ফিজিক্যালি ফিটের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। অনেকে আছে, ম্যাচে অনেকক্ষণ ধরে বোলিং করতে পারে, ৬-৭-৮ ওভারের স্পেল করতে পারা ফাস্ট বোলার কিন্তু বিপ টেস্টে ১০ স্কোরও করতে পারছে না। আবার অনেকে বিপ টেস্টে ১২-১৩ দেয়, কিন্তু ৫ ওভারও বোলিং করতে পারে না। যেহেতু আমি প্রিমিয়ার লিগে চারটি ম্যাচ খেলে গিয়েছিলাম প্রচণ্ড গরমের মধ্যে, সেটা আমাকে সাহায্য করেছে। আমি জানতাম, চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দুই দিন আমার জন্য কষ্টকর হবে। তারপর ঠিক হয়ে যাবে। তো এটাকে চান্স নেওয়াই বলতে পারেন, তবে ক্যালকুলেটিভ চান্স নেওয়া। ‘
এর পরই সাকিব রসিকতার ছলে বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় যে, আমরা হচ্ছি টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম ফিটেস্ট টিম (সবচেয়ে কর্মক্ষম দল)। কারণ আমরা সব থেকে বেশি ফিল্ডিং করি। বেশির ভাগ সময়। তাই শারীরিকভাবে আমরা ফিট। মানসিক সমস্যাটা মনে হয় একটু বেশি। এই জায়গাটাতে আমাদের আসলে অনেক বেশি কাজ করার আছে। কিন্তু শারীরিকভাবে কিন্তু আমরা অনেক বেশি ফিট।
আপনি দেখেন, সব মিলিয়ে বোধ হয় তিন ইনিংসে চার শ-সাড়ে চার শ ওভার ফিল্ডিং করেছে পুরা টিম (হাসি)। তো ফিট না হলে লিটন সাড়ে চার শ ওভার কিপিং করছে, মুশফিক ভাই ব্যাটিং করছে, আবার ১৭০ (আসলে ১৭৫*) করছে একজন, আরেকজন ১৪০-৫০ করছে (লিটন ১৪১); তো শারীরিকভাবে সবাই ফিট। মানসিক সমস্যা আছে আমার যেটা মনে হয়। এই জায়গায় আমাদের কাজ করার আছে। আমরা হয়তো ব্যর্থতার ভয়টা বেশি করি, ভাবি যে খারাপ ফলাফল হবে। কিন্তু উল্টোভাবে চিন্তা করলে ভালো কিছু হতে পারে। ‘
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।