জুমবাংলা ডেস্ক: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৫০ বছর বয়সী এক দাদির সঙ্গে ১৭ বছরের নাতির বিয়ে হয়েছে। বুধবার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, এই দাদির স্বামী দেড় বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে দাদি তার পুত্রের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। সেই সুবাদে নাতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রেম-ভালোবাসা চলতে থাকলে এলাকাবাসীর নজরে আসে।
এক পর্যায়ে দাদি ও নাতি অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী হাতে নাতে ধরে ফেলে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।পরে স্থানীয়রা বিষয়টি ধামাচাপা ও মিমাংসার জন্য দফায় দফায় সালিশ বৈঠকে বসে কিন্তু কোনো সমাধান করতে পারেননি।
পরে বুধবার দুপুরে ৭ লাখ টাকা কাবিনে জেলা নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে কোর্ট এফিডেফিটের মাধ্যমে দাদি-নাতি বিবাহ সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়ে নাতি গণমাধ্যমকে বলেন, দাদা মারা যাওয়ার পর দাদি দেখাশোনা করার জন্যই স্বেচ্ছায় দাদিকে বিয়ে করেছি।
এদিকে এ বিয়ে নাতির পরিবার লোকজন মেনে নেয়নি। নাতির বড় ভাই জানান, দাদিকে আমার ছোট ভাই বিয়ে করেছে কিন্তু আমাদের পরিবার মেনে নেয়নি। তাছাড়া কোর্ট এফিডেফিটে আমার ভাইয়ের বয়স ২৩ উল্লেখ করা হলেও তার প্রকৃত বযস ১৭।
এ বিষয়ে দাদি বলেন, আমার ঘরে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছে। তাদেরকে মেনে নিয়েই আমার নাতি আমাকে বিয়ে করেছে। বাকি জীবনটা নাতির সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।