অন্যরকম খবর ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন, যা কি না পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। এক কথায় এটি বিজ্ঞানীদের আরও একটি বাড়ি। নভোচারীরা বছরের পর বছর সেখানে থেকে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে আসছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অস্তিত্ব নেই। ফলে সেখানে থাকা যে খুব সুখকর, তা কিন্তু একেবারেই নয়। এমনকি পানি খাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাদের কাছে।
তবে কথায় আছে না, সব কিছুই অভ্যাসের দাস। কিন্তু নভোচারীদের কাছে অভ্যাসও হার মানে। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তাদের বাঁচিয়ে রাখে বিভিন্ন রকম প্রযুক্তি। পানি খাওয়া থেকে শুরু করে চুল-দাড়ি কাটা, সব কিছুর জন্যই ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রকম প্রযুক্তি। আর এত কিছুর মধ্যেও ঘুম থকে উঠে সকালের কফি একবারেই মিস করেন না তারা। কিন্তু কফিও খান এক অভিনব পদ্ধতিতে। আইএসএস থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন মহিলা মহাকাশচারীকে কফি খেতে দেখা যাচ্ছে। তার কফি খাওয়ার পদ্ধতি দেখলে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিওটিতে আইএসএস-এ থাকা একজন নভোচারীর কফি খাওয়ার প্রক্রিয়াকে দেখানো হয়েছে। মহাকাশচারীর নাম সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট বোতলে কফি ঢালাটাই কতটা কঠিন। তারপরে তো খাওয়ার প্রসঙ্গ। একটি ব্যাগ থেকে কোনও মতে বোতলে কফিটা ভরতে পারলেন। তারপরে খেতে চাইলেও পারলেন না। কিন্তু উপায় কী? খেতে তো হবেই। তাই তার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি অভিনব কাপ, যা শূন্য মাধ্যাকর্ষণেও কাজ করবে। সেটিতে কফি ঢালার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খেয়ে ফেলতে পারলেন। ভিডিওটি শেয়ার করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি লিখেছে, ‘আমাদের মহাকাশচারী সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটি দেখালেন কীভাবে তিনি মহাকাশে তার সকালের কফি খান।’ এই পোস্টটি এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার ভিউ হয়েছে।
এই পোস্টে অনেকে অনেক কমেন্টও করেছে। এক ব্যক্তি লিখেছে, ‘এগুলো থেকেই আমরা জানতে পারি মহাকাশে এবং পৃথিবীর বাইরে জীবন কেমন। তবে সামান্থা যে কফির পাত্রে ব্যবহার করছেন, তা নাসা ডিজাইন করেছে। এগুলি এমন এক ধরনের পাত্র, যা মহাকাশচারীদের যে কোনও তরল জাতীয় জিনিস খেতে সাহায্য করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।