শিবালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার যমুনাবাদ উচ্চ্ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মফিজুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ মোট ১০৮ জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেন।

অভিযোগে বলা হয়, যমুনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান লিটন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এস.এস.সি পরীক্ষা পূর্ববর্তী টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে ভুল সংশোধন, সার্টিফিকেট প্রদান, মার্কশিট প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। বিভিন্ন শিক্ষক এর নিকট থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করেন। আয়া নিয়োগেও প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান লিটন কয়েক লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এভাবে বিভিন্ন অজুহাতে প্রধান শিক্ষক স্কুলের বহু টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল খায়েরকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সোমবার দুপুরে যমুনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রমের প্রথমদিনে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের বক্তব্য নেয়া হলেও প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান লিটন অনুপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান লিটনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল খায়ের বলেন, তদন্ত কার্যক্রমের প্রথম দিনে আট জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদেরও বক্তব্য নেয়া হবে। তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।