জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে সরকার। এবার সুইজারল্যান্ড থেকে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪০৯ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বরের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি চলতি পঞ্জিকা বছরে ১৮তম এলএনজি আমদানি।
জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এসব এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি’র দর ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ১৭ ডলার। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনা প্রয়োজন। স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার জন্য এমএসপিএ অনুস্বাক্ষরকারী ২১টি প্রতিষ্ঠানের কাছে এলএনজি সরবরাহের দরপ্রস্তাব আহ্বান করে ই-মেইলে চিঠি পাঠানো হয়। এলএনজি কার্গো আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ছাড়াও অপর দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড ও গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড। এর মধ্যে ভিটল এশিয়ার প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনএজির প্রস্তাবিত দর ছিল ১১ দশমিক ৬৮ ডলার এবং গানভরের প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনএজির প্রস্তাবিত দর ছিল ১৩ দশমিক ১০ ডলার। ফলে, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডকে মনোনীত করা হয়েছে।
দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বহু গুণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।
এ অবস্থায় স্পট মার্কেট থেকে উচ্চ মূল্যে এলএনজি আমদানির বর্ধিত ব্যয় নির্দিষ্ট শ্রেণির ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি এসআরও জারি করা হয়। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।