জুমবাংলা ডেস্ক: উচ্চফলনশীল ও স্বাদে অনন্য একটি আনারসের জাত হল হানিকুইন। স্থানীয় পর্যায়ে এই আনারসের চাহিদার পাশাপাশি বাজারে দাম ভাল থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর চাষাবাদ। এদিকে ভালো লাভ হওয়ায় খুশি খাগড়াছড়ির আনারস চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রমতে, সময়ের পরিক্রমায় গত এক দশকের ব্যবধানে জেলায় আনারসের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। চলতি বছর প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।
হানিকুইন জাতের আনারসের গড় ওজন প্রায় এক কেজি। পাতা কাঁটাযুক্ত ও পাটল বর্ণের। হানিকুইন বেশ মিষ্টি আনারস। এছাড়াও আদা, সয়াবিন, সরিষা, কালাই, কচু ইত্যাদি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এক একর জমিতে হানিকুইন আনারস চাষের জন্য প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সব খরচ বাদ দিয়ে হেক্টরপ্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মতো লাভ পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহালছড়ির মধ্য আদাম গ্রামের চাষি সুলক্ষণ চাকমা জানান, এবার ১৬ হাজার আনারসের চারা লাগিয়েছি। যেখান থেকে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি ফল পেয়েছি। বাজারে ভালো দামও পাচ্ছি। আগামী বছর আরও চাষের জমি বাড়াব বলেও তিনি জানান।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুর্তজ আলী জানান, আগাম আনারস চাষ হওয়ায় কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। পাইকাররা প্রতিপিস আনারস ১৪-২০ টাকা দরে কিনে নিয়ে গিয়ে ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। নতুন উদ্যোক্তাদের এই আনারস চাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি যোগ করেন।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।