জুমবাংলা ডেস্ক : মা-ফুপুর অনুমতি নিয়েই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গিয়েছিল স্কুলছাত্র মাহিম হোসেন (১৭)। সেখানে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে আহত হয় সে। হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তবে সুস্থ করা যায়নি।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রক্তবমি আর শ্বাসকষ্টে মারা যায় সে। পরে বিকেলে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। মাহিম জেলার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ও চাঁদট গ্রামের ইয়াকুব আহমদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই মাঠে ছিল মাহিম। গত ৪ আগস্ট ছোট ফুপু রহিমার উৎসাহে মিছিলে যোগ দিতে উপজেলা সদরে যায় সে। সেখানে পুলিশের বাধার মুখে সঙ্গীদের ছেড়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে। পরে পাশের উপজেলা কুমারখালীতে গিয়ে বাস থেকে নেমে আবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের মধ্যে পড়ে মাহিম।
স্থানীয় কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সহায়তা করেন। তবে বাড়ি ফিরে আর স্বাভাবিক হতে পারেনি মাহিম। তার মুখে ও শরীরে জ্বালা-যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। সোমবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহত মাহিমের ফুপু রহিমা বলেন, দেশ স্বাধীন করতে আমার সোনা মিছিলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে আমাকে সব ঘটনা জানিয়েছিল। কিন্তু এতটা অসুস্থ তা বুঝতে দেয়নি। ওর মৃত্যু আমরা মানতে পারছি না।
রোমান্সে ভরপুর উল্লুর নতুন এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
নিহতের বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানান, গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে তার ছেলে আন্দোলন করেছে। উপজেলা সমন্বয়করা তার সঙ্গে ছিল। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।