লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাঝে মধ্যেই আঙুল ফোটানোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। আঙুল ফোটালে এক ধরনের জোরালো মট মট শব্দ হয়। সাধারণত মনে কারা হয়, আঙ্গুল মোচড়ানোর সময় হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে হয়তো এই শব্দ হয়। ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়। আঙুল ফোটানোর সময় মোটেও হাড়ে হাড়ে ঘষা লাগে না।
আমরা যখন আঙুল ফোটাই, আঙুল গুলোকে আমরা সাধারনত এতটা মোচড় দিয়ে থাকি, যতটা স্বাভাবিক ভাবে আঙুলের পক্ষে মোচড়ানো সম্ভব নয়। আমাদের অস্থিসন্ধিগুলির চারপাশে এক ধরনের তরল থাকে, যেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সাইনোভিয়াল ফ্লুইড।
যখন আমরা অস্থিসন্ধিগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসি, এই তরলে এক ধরনের শূন্যতা বা ফাঁপা অংশের সৃষ্টি হয়। শূন্যস্থানে একটি বুদবুদের সৃষ্টি হয় যা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফেটে যায়। এই বুদবুদের ফাটার শব্দটাই আমাদের কানে পৌঁছায়। এটাই হল আঙ্গুল ফোটানোর শব্দের আসল কারণ।
সাধারণত আঙুল বা পিঠের হাড় ফোটালে আমাদের সাময়িকভাবে খানিকটা আরাম মেলে। কারণ ওই বিশেষ ভঙ্গি বা কসরতের ফলে শরীরের ওই অঞ্চলের জড়তা কাটিয়ে ওঠা যায়। সেই দিক থেকে আঙুল ফাটানো খারাপ নয়। তাছাড়া এই আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বয়সকালে বাতের ব্যথার কোন সম্পর্ক নেই।
তবে যারা খুব বেশি আঙুল ফোটান বা আঙুল ফোটানোটা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তাদের একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এই অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ক্রমশ তার আঙুলের অস্থিসন্ধিগুলি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেজন্য কাজের ফাকে হাত বা পিঠ-কে আরাম দেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে আঙুল ফোটানো যেতেই পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বদভ্যাসে পরিণত না হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।