খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে কাঁদতে শুরু করলেন অঙ্কুশ!

কাঁদতে শুরু করলেন অঙ্কুশ!

বিনোদন ডেস্ক : ২৯ পিস মাংস, তার সঙ্গে ভাত, ডাল, ভাজা, মিষ্টি কী নেই! মস্ত এক তামার থালা। তার পাশে পর পর রূপোর বাটি। সব ভরে ভরে উঠছে মাঝে মাঝেই! তিন জনে খেতে বসেছেন পাশাপাশি। মাঝে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা, এক পাশে অভিনেতা সৌরভ দাস, আর এক পাশে তাঁদের অন্য এক বন্ধু। টেবিলে বাড়ির মহিলারা জামাই আদরে তিন অতিথিকে খেতে দিচ্ছেন। সে এক কাণ্ড বটে! অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন টেবিলের অন্য প্রান্তে। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে নির্দেশ দিচ্ছেন খাবার পরিবেশন নিয়ে। খেতে খেতে ক্লান্ত সেই তিন অতিথি। অনেক কষ্টে পাতা ফাঁকা করেছেন তাঁরা।
কাঁদতে শুরু করলেন অঙ্কুশ!
কিন্তু রেহাই নেই! মহিলারা যেন ঝাঁপিয়ে পড়লেন অঙ্কুশের উপর। পাত ফাঁকা রাখাই যাবে না। ”ওমা পাত যে একেবারে খালি। বাটিগুলোও যে ফাঁকা। মাত্র ২৯ পিস মাংস খেলে কি পেট ভরে বাবা?” এমন ভয়ানক কথায় চমকে উঠলেন অঙ্কুশ-সৌরভ। জোর করে পাতে পড়ল আরও মাংস। আর থাকতে না পেরে কেঁদে ফেললেন অঙ্কুশ। কোনও রকমে একটা রসগোল্লা কামড়ে কাঁদতে শুরু করলেন নায়ক। বেজে উঠল গান, ‘ছল ছল নয়নে, হাসিমাখা বদনে’।

জামাইষষ্ঠীর অত্যাচারে এমন বেহাল অবস্থা অঙ্কুশের? খানিকটা তাই। তবে বাস্তবে নয়, পর্দায়। রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘বলো দুগ্গা মাঈকী’ ছবির একটি দৃশ্যে এমনই খেতে হয়েছিল তাঁকে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সেই দৃশ্যটি ছোট ভিডিও আকারে পোস্ট করেছে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। ছবির নায়িকা নুসরত জাহানের বনেদি বাড়িতে অতিথি হিসেবে থাকতে এসেছিলেন তিন মূর্তিমান। আর সেখানেই এমন অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তাঁরা।

তবে ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠীতে যদি এমন জামাই আদর মেলে, কেঁদে ফেলবেন না তো অঙ্কুশ?

রংধনু রঙের বিকিনিতে ভক্তদের ঘুম কাড়লেন সারা