জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ২ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা ছাড়া বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সারাদেশে মহানগর ও জেলা শহরে সমাবেশ করবে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল।
এ ছাড়া শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। এদিকে, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের এই রায়কে ‘হিংসা ও আক্রোশ’র বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বিএনপির এক দফার আন্দোলন নস্যাৎ করতেই সাজানো রায় দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলীয়করণ করে প্রতিটি রায় ফরমায়েশি দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে সরকার তার কোনো প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। সেজন্যেই সরকারপ্রধানের নির্দেশে এই ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিচারবিভাগ নির্দেশ দিলে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা চালানো হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান যুক্তরাজ্যে কী স্ট্যাটাসে আছেন, তা মন্ত্রণালয়ের জানা নেই। যদিও এ বিষয়ে একাধিকবার যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে, ব্যক্তিগত তথ্য দেশটি শেয়ার করে না বলে বারবারই ঢাকাকে জানিয়েছে।
সরকারের আরেক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদেশে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, এই রায়ে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে। রায় আদালত দিয়েছে, সরকার দেয়নি। কেউ অপরাধ করলে তার সাজা হবেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে এই রায় দিয়ে সরকার বিএনপিকে কোনঠাসা করছে, এটা সত্য নয়। এটা বিএনপির মনগড়া বক্তব্য। বিএনপির রাজনীতি করতে বাধা দেওয়ার ইচ্ছে থেকে এই রায় দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং জোবায়দার তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তারেকের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হলেও ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।