বাৎসরিক ওরস শরীফে চাঁদা দাবি, হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন

Hirza

মো: সোহাগ হাওলাদার : সাভারের আশুলিয়ায় বাৎসরিক ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছে আশুলিয়া হিজড়া সম্প্রদায়। এসময় তারা স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাঁধা ও চাঁদা দাবির প্রতিকার চান।

Hirza

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চালাপাড়া এলাকার হিজড়া কলোনীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে শতাধিক হিজরা সম্প্রদায় ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজন বলেন, স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদা দাবি করছেন। তারা ওরশ শরীফ পালন করতে হলে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এছাড়া ওরশ মোবারকে জুয়া বসানোর চেষ্টা করছেন। তারা জুয়া চালাতে না দিলে ওরশ পালন করতে দিবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। আমরা অন্যায় কিছু করছি না। আমাদের ওরশ পালনে প্রশাসন অনুমতি দিলেও তারা নানাভাবে বাঁধাগ্রস্ত করছেন।

মানববন্ধনে তৃতীয় লিঙ্গের শিখা ভান্ডারী বলেন, আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চালাপাড়া এলাকায় সরকার বসবাসের জন্য জায়গা দিয়েছেন। সেখানেই আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু স্থানীয় মাসুদ ও তার সহযোগীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ বসবাসে বাঁধাগ্রস্ত করছেন। আমাদের বাউন্ডারি ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। আমাদের ৬ টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। বিষয় গুলো আইনিভাবে আমরা মোকাবেলা করছি। কিন্তু আগামী পহেলা ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বাৎসরিক ওরশ পালন করা হবে। সেই ওরশে মাসুদ গং তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় বাসিন্দা শিপন বলেন, প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর আগে হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজন আমাদের এলাকায় আসে। তারা অত্যন্ত ভাল মানুষ। আমরা যতদূর জানি তারা মানুষের কোন ক্ষতি করে নি। এলাকার গরিব মানুষের মেয়েদের টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারতো না,এই হিজরা সম্প্রদায়ের মানুষ গুলো এসে এই গরিব মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। তাদের ওপর কেউ জুলুম করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

মোবাইলে Non-removable battery: কেন ব্যবহৃত হয়? কারণ জানুন

মানববন্ধনে স্থানীয়রাসহ প্রায় শতাধিক হিজড়া জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেন।