স্পোর্টস ডেস্ক : কথিত অডিও ফাঁসের আরেকটি বিতর্কে ফেঁসেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে আবারও একটি কথিত অডিও ফাঁস হয়েছে বলে ক্রিকেট পাকিস্তানের খবরে বলা হয়।
২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপটিতে আশরাফের মতো একটি কণ্ঠস্বরকে একজন অজ্ঞাত নারীর সঙ্গে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে বাবরের অধিনায়কত্বের পরিবর্তন নিয়ে বলা হয়।
তবে বাবর ও পিসিবিপ্রধানকে নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগেও বাবর এবং বোর্ডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সালমান নাসিরের মধ্যে একটি কথোপকথন ফাঁস হয়েছিল এবং পরে অক্টোবরে সেটি একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছিল।
সর্বশেষ অডিও ফাঁসের মধ্যে তিনজনের কথা শোনা যায়। যেখানে একজন পিসিবি ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং আরও দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় দল সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায়।
বেশিরভাগ কথোপকথন এক নারী ও আশরাফের মধ্যে হয়েছিল, যেখানে দুজনে দলে বন্ধুত্ব এবং খেলোয়াড়দের এজেন্টদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
সেখানে এই নারী বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে অধিনায়ক তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন, যেখানে শাদাব খানের জন্য (বিশ্বকাপে) কোনো জায়গা ছিল না।
তার কথায় আশরাফ সম্মতি জানিয়ে বলেন, এ কারণেই পাকিস্তান ক্রিকেটের অবনতি হচ্ছে।
অডিওতে অপর এক ব্যক্তি বলেছেন, হাসান আলীও বাবরের বন্ধু হওয়ার কারণেই খেলেছেন।
এর উত্তরে ওই নারী বলেন, তবে হাসান খেলেছিলেন কারণ সেখানে নাসিম শাহ ছিল না।
পিসিবিপ্রধান তখন তালহা নামে একজন এজেন্ট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলেন, তালহার নিয়ন্ত্রণে আটজন খেলোয়াড় রয়েছে এবং তিনি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে তাদের বাড়িতেও যান।
পিসিবিপ্রধান বলেন, তালহা ওসমান নাকি তালহা নামটা সঠিক জানি না। তবে তালহা নামের এই লোকটি অনেক স্মার্ট। সে একজন প্লেয়ার এজেন্ট। সে জাতীয় দলের আটজন খেলোয়াড়কে নিয়ন্ত্রণ করে। সে খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করেছে। আর খেলোয়াড়রা তাকে ছাড়া চলতে পারে না।
তার পর তিনি যোগ করেন, তিনি বাবরকে টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে তার পরিবারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে বাস্তবিক অর্থে তিনি তালহাকে কল করতে চেয়েছিলেন।
পিসিবিপ্রধান দাবি করেন, আমি বাবরকে বলেছিলাম তোমাকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে থাকতে হবে। আর আমি তোমাকে সাদা বল থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি। বাবর উত্তরে বলেন, ‘আচ্ছা, আমি বাড়িতে এ নিয়ে আলোচনা করব, তার পর আমার সিদ্ধান্ত জানাব।’ পরে বাবর তালহাকে ডেকে তার সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন এবং তালহা তাকে সব কিছু ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আশরাফ বলেন, আমি এ ধরনের পরিস্থিতির জন্যই ‘প্ল্যান বি’ প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। তাই বাবর যখন নিশ্চিত করেন যে তিনি সব ফরম্যাট থেকে পদত্যাগ করবেন, তখনই আমি তাকে ডেকে বলি, ‘চাল ভাই, আব তু ক্যাপ্টেন হ্যায়। ‘
এ সময় অজ্ঞাত এই নারীটি জিজ্ঞাসা করেন, তা হলে সেটি কি শান মাসুদ। এর উত্তরে আশরাফ বলেন, ‘না, এটি শাহিন আফ্রিদি,’ এ সময় ওই নারীটি বলেন, তার চেয়ে কি মোহাম্মদ রিজওয়ান ভালো ছিল না।
এ সময় পিসিবিপ্রধান যুক্তি দিয়ে বলেন, আমিও রিজওয়ানকে অনেক পছন্দ করতাম; কিন্তু সেও বাবর ও তালহার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এ সময় ওই নারীটি বলেন, কিন্তু শাহিন তার শ্বশুর শহিদ আফ্রিদির নিয়ন্ত্রণে এবং তিনি যে কোনো বিষয়ে প্রচুর হস্তক্ষেপ করেন। এ সময় সেখানে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তিটি বলেন, এটা খুব সাধারণ বিষয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।