আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে গত দুই বছর ধরে। এর মধ্যেই গত বছর গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দুই যুদ্ধের ধকল সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ব। এর মধ্যেই পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বললেন, আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইউরোপ। এই যুদ্ধ থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সম্প্রতি মস্কোতে হামলায় দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এরপর ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আসছে পোল্যান্ডের আকাশেও। এমন সময় এই সতর্কবার্তা দিলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ইউরোপ এখন যুদ্ধ–পূর্ববর্তী সময় পার করছে। ইউক্রেন যদি রাশিয়ার কাছে হেরে যায়, তাহলেই এই যুদ্ধ শুরু হবে। এই যুদ্ধে কোনো ইউরোপীয়ই নিরাপদে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে ভয় দেখাতে চাইছি না। কিন্তু যুদ্ধ যে হবে, এটা সবার ধারণা। দুই বছর আগে থেকেই কিন্তু এর তোড়জোর চলছে।’
গত এক সপ্তাহ ধরেই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা করছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে রোববার সকালে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গিয়েছে পোল্যান্ডের আকাশেও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রোববার সকালে এলভিভ এলাকায় হামলা করে রাশিয়া। এ সময় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও হামলা করা হয়। এর দুই দিন আগেই ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা করে দেশটি। এর রেষ কাটতে না কাটতেই এই হামলা।
এবারের হামলায় কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বেশ কঠিন। এলভিভে একটি জ্বালানি অবকাঠামোর যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলছে, ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক বলছেন, মস্কোতে হামলার জন্য আগেই ইউক্রেনকে দোষ দিয়েছেন পুতিন। অথচ তাঁর হাতে কোনো প্রমাণ নেই। আর এরপর হামলাও জোরদার করেছেন তিনি।
ডোনাল্ড টাস্কের এই শঙ্কা এমন এক সময়ে এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে। নির্বাচনে কে জিতবেন, তার ওপর নির্ভর করছে ইউরোপ কোনদিকে যাবে। এ জন্য এখনই ইউরোপের দেশগুলোকে নিজেদের মতো প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিলেন ডোনাল্ড টাস্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।