বিনোদন ডেস্ক : ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তুফান’ ছবির আলোচিত গান ‘লাগে উড়াধুরা’। দ্বৈত কণ্ঠে এটি গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। লিখেছেন শরীফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। তবে প্রীতমের বিরুদ্ধে অনুমতি না নিয়ে এ গান চলচ্চিত্রে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন শরীফ উদ্দিন। জানালেন, বছর দুই আগে গানটি প্রীতমকে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকারকে যুক্ত করে সেটি তুফান-এ ব্যবহৃত হয়েছে।
এ বিষয়ে শরীফ উদ্দিনের ভাষ্য, ‘দুই বছর আগে প্রীতম হাসানের স্টুডিওতে আরেকটি গান নিয়ে গিয়েছিলাম। সে সময় লাগে উড়াধুরা গানটি তাকে দিয়ে বলি, গানটি রাখো, পরে এসে আমি গাইব। পরবর্তী সময়ে সে আমাকে না জানিয়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহার করেছে। দুই মাস আগে সে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে জানায়, এটি সিনেমায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে একটি কাগজও নেয়।’
গত ২৮ মে ইউটিউবে প্রকাশ পায় গানটি। এর গীতিকার হিসেবে গায়ক শরীফ উদ্দিনের পাশাপাশি রাসেল মাহমুদের কথা উল্লেখ করা হয়।
এভাবে আরেক গীতিকারকে যুক্ত করা প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই আরেকজন গীতিকারকে যুক্ত করা হয়েছে। আমার লেখা থেকে শুধু গানের মুখটুকু রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমাকে একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন মনে করেনি।’
আক্ষেপ করে এ গায়ক-গীতিকার আরও বলেন, ‘‘এই গান নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, অথচ যার লেখা, তাকে নিয়ে কোনো কথা নেই। কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয়নি। আমার নামও কেউ নিচ্ছে না। অথচ আমার লেখা অংশ ‘তুমি কোন শহরের মাইয়া গো লাগে উড়াধুরা’র জন্যই গানটি এত হিট হয়েছে।’’
তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে অস্বীকার করেছেন প্রীতম হাসান। তিনি জানান, চারজনকে শরীফ উদ্দিনের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম ডকুমেন্টস ও টাকাসহ। সেখানে সবকিছু তাঁকে পড়ে শুনিয়ে সিগনেচার নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাগে উরাধুরা গানটি তৈরি হয়েছে রাজ্জাক দেওয়ানের ‘আমায় ঘুম ভাঙায়া গেল রে মরার কোকিলে’ গানের সুর অবলম্বনে। প্রকাশের পরই গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এদিকে, তুফান সিনেমায় দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন টলিউডের মিমি চক্রবর্তী ও ঢাকার মাসুমা রহমান নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।