লাইফস্টাইল ডেস্ক : এ এক এমন উপাদান, যার সঠিক প্রয়োগ কমিয়ে দিতে পারে বলিরেখা। অকালে বার্ধক্য এসে যাওয়া মুখেও ফেরাতে পারে তারুণ্যের ছোঁয়া। আর তা নিয়েই প্রসাধনী জগতে হইচই। জিনিসটির নাম ‘রেটিনল বিভিন্ন খাদ্যবস্তুতে মেলা এ এমন এক যৌগ, যা ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে বলিরেখা কমিয়ে দেয়। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্র সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে। বয়স হলে মুখে যে সব লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তা কমানোর জন্য একাই একশো রেটিনল। রেটিনল আসে ভিটামিন এ থেকে। ব্রণ, বার্ধক্যে পৌঁছনো ত্বক টানটান রাখতে, হারিয়ে যাওয়া দীপ্তি ফেরাতেই এর কদর।
সেই কারণে শুধু প্রসাধনী নয়, ত্বকের চিকিৎসকেরাও নানা কাজে রেটিনল ব্যবহার করে থাকেন। বাজারে রেটিনল সমৃদ্ধ সিরাম, ক্রিম মেলে। কিন্তু শুধু মাখলেই হয় না, শরীরের পুষ্টির জোগানও থাকা চাই। আর তা আসে খাদ্যের মাধ্যমে। নিয়মিত কোন খাবার পাতে রাখলে রেটিনল মিলবে নিজে থেকেই?
ডিম: ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভাল বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। উচ্চমাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজে ভরপুর ডিমে মেলে রেটিনলও। কুসুমে থাকে ভিটামিন এ। তারই মধ্যে পাওয়া যায় রেটিনল। সুতরাং টানটান ত্বক, সুন্দর শরীর পেতে হলে ডিম খাওয়া জরুরি। কুসুম শুধু রেটিনলের জোগান দেয় না, স্বাস্থ্যের উপযোগী প্রোটিন থেকে ভিটামিন, সবই মেলে এতে।
গাজর: সব্জির তালিকায় গাজর রাখনে কি? ভিটামিন এ সমৃদ্ধ শীতকালীন সব্জিটি রেটিনলের অন্যতম উৎস। আধ কাপ গাজর খেলেই শরীর ভিটামিন এ পাবে। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখার জন্যও এই ভিটামিন জরুরি।
মাছ: কোনও কোনও মাছেও মেলে রেটিনল। এ কারণে রুই মাছ খাওয়া ভাল। এ ছাড়া বিভিন্ন রকম সামুদ্রিক মাছের উপকারিতাও অনেক। মাছে মেলে প্রোটিন, খনিজ। প্রোটিনও ত্বক ভাল রাখার জন্য জরুরি।
দুধ, ঘি, মাখন: দুধ হল ভিটামিন এ-র অন্যতম উৎস। দুগ্ধজাত খাবারেও ভিটামিন এ মেলে। তা থেকেই পাওয়া যায় রেটিনল। দুধে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ। পুষ্টিগুণের জন্য দুধকে সুষম খাবার বলা হয়।
প্রতি দিন এক জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৭০০ মাইক্রোগ্রাম এবং মহিলাদের ৬০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ-র প্রয়োজন হয়। ত্বক ভাল রাখার জন্য ভিটামিন এ যেমন জরুরি, তেমনই অতিরিক্ত ভিটামিনও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই যে কোনও খাবারই খাওয়া দরকার পরিমিত পরিমাণে।
রেটিনলযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার
রেটিনলযুক্ত ক্রিম বা সিরাম রাতে ব্যবহার করাই ভাল। যে কোনও ধরনের অ্যাসিড, রোদের সংস্পর্শে এলে তা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে রেটিনল উপযোগী নয়। ত্বক জ্বালা করা, অস্বস্তি হওয়া, র্যাশ বেরোনোর মতো সমস্যা হতেই পারে। তবে একান্তই যদি এই জাতীয় প্রসাধনী মাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে পরিমাণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। চিকিৎসকেরা বলেন, ভাল হয় নিজেদের ইচ্ছামতো রেটিনল না মেখে পেশাদার কারও পরমার্শ নিলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।