স্পোর্টস ডেস্ক : নেইমার গিয়েছিলেন, এবার সেখান থেকে ব্রাজিলেও ফিরে গেছেন। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, রবের্তো ফিরমিনো, এনগোলো কান্তেরা তো আছেন! সৌদি আরবের ফুটবল লিগে তারকা খেলোয়াড়ের তালিকা আরও লম্বাই হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। এই তো, গতকালই সৌদি প্রো লিগে এমন একজন যোগ দিলেন যিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে – ইউরোপেই – মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই অ্যাস্টন ভিলা ছেড়ে সৌদি আরবে গেছেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার জন দুরান!
সৌদিদের চোখ অবশ্য আরও ওপরে। নেইমারের জায়গায় আগামী জুলাই-আগস্টে তারা লিভারপুলের মো সালাহকে আনতে চায়। রেয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আর রদ্রিগোকে তো এখন-তখন চোখধাঁধানো অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে বসছে!
পেট্রোডলারের অভাব নেই, বেতন দিতেও কার্পণ্য নেই। সৌদি লিগের দাপটকে তাই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ইউরোপের ক্লাবগুলো হালকাভাবে নিচ্ছেও না। বার্সেলোনাই যেমন, তাদের তরুণ তারকাদের সৌদি যাওয়া ঠেকাতে অভূতপূর্ব এক পথ ধরেছে। পেদ্রি-গাভির মতো খেলোয়াড়দের চুক্তিতে শুধু সৌদি আরবের জন্যই আলাদা শর্ত রাখছে তারা! খেলোয়াড়দের চুক্তিতে ‘অ্যান্টি সৌদি আরব’ এই ধারা আরও অনেক ক্লাবই আগামী দিনে খেলোয়াড়দের চুক্তিতে ঢোকাতে চাইবে, তা সম্ভবত না বললেও চলে।
https://x.com/ReshadFCB/status/1885107349989257369?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1885107349989257369%7Ctwgr%5E9aca47eae586adf0c176c6ad092b1d400e15769b%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fd-20472187811396254633.ampproject.net%2F2501142147000%2Fframe.html&mx=2
বার্সেলোনা কী করেছে? তার আগে দিন তিনেক আগের খবরটা আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া যাক। পেদ্রির সঙ্গে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করছে বার্সা, সেখানে স্প্যানিশ লিগের নিয়ম মেনে ‘বাইআউট ক্লজ’ও রাখা আছে। বাইআউট ক্লজের পরিমাণ ১০০ কোটি ইউরো। মাথা ঘোরানোর মতোই অঙ্ক, দলবদলে এখনো রেকর্ডই যে ২০১৭ সালে নেইমারের ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো। কিন্তু এত বড় অঙ্কের বাইআউট ক্লজ রেখেও ঠিক নির্ভার হতে পারছে না বার্সা।
হবে কীভাবে? নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্লাব পেদ্রির বাইআউট ক্লজের অর্থ স্প্যানিশ লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলে আর পেদ্রি নিজেও ওই ক্লাবে যেতে রাজি থাকলে বার্সেলোনার কিছুই করার থাকবে না। বার্সা দুশ্চিন্তায়, কারণ, তেলেধন্য সৌদিদের লিগে অর্থের ভাণ্ডার যে অতল! তাদের জন্য ১০০ কোটি ইউরোও হয়তো তেমন কিছুই নয়।
সে জন্য পেদ্রির চুক্তিতে আরেকটি শর্ত রেখেছে বার্সা। সেটি হলো, সৌদি কোনো দল – বা তাদের হয়ে যারা দলবদলের দিকটি দেখাশোনা করে সেই সৌদি বিনিয়োগ ফান্ড – যদি ১০০ কোটি ইউরো ‘বাউআউট ক্লজে’র অর্থ পরিশোধও করে, এবং পেদ্রিও সেখানে যেতে রাজি হয়ে যান, তবু বার্সা চাইলে সেই দলবদল আটকে দিতে পারবে। এই শর্ত শুধু সৌদি লিগের জন্য কার্যকর। সৌদি লিগ ছাড়া আর কারও পক্ষে ১০০ কোটি ইউরো খরচ করে শুধু একজন খেলোয়াড়কে কেনার সক্ষমতা আর ইচ্ছা নেই কিনা!
শুধু পেদ্রি নয়, গাভির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে যাওয়া বার্সেলোনা এই তরুণের চুক্তিতেও একই শর্ত রাখতে যাচ্ছে। যা দেখে ইউরোপের ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকেরই ধারণা, এমনটা আরও অনেক ক্লাবও তাঁদের মূল খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে করতে পারে।
সৌদি আরবকে ঠেকানো নিয়ে ইউরোপের লিগগুলো যে দুশ্চিন্তায়, তা বোধ হয় বার্সার এই চুক্তিই আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।