জুমবাংলা ডেস্ক : কোরবানি ঈদের সময় ১৫ লাখ টাকার ছাগল কাণ্ডে ইফাতের বাবা মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদের পাহাড় এখন টক অব দি টাউন।নিজের নামের পাশাপাশি প্রথম স্ত্রীর নামেও রয়েছে অঢেল সম্পদের ফিরিস্তি।রয়েছে রাজধানীসহ, ঢাকার বাইরে অসখ্য জমি-জামা আর কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি।
নরসিংদীর দুর্গম একটি উপজেলার নাম রায়পুরা। এ উপজেলার একটি পাহাড়ি এলাকার নাম মরজাল। এ এলাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী টিলা আর কিছু জলাশয় ও ঝোপঝাড় নিয়ে গড়ে তোলেন ওয়ান্ডার পার্ক।
এটি বিনোদন কেন্দ্র হলেও এর অন্তরালে চলে সব অসামাজিক কর্মকাণ্ড। পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীদের বসার স্থানগুলো যেন একটি খুপরি ঘর। সে ঘরেই চলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ নানা বয়সের লোকজন এ পার্কে এসে লিপ্ত হয় অসামাজিক কার্যকলাপ। এতে করে এলাকার যুব সমাজসহ উঠতি বয়সী যুবক-যুবতী বিপথগামী হচ্ছে।
পার্কের ভেতরে রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল একাধিক কটেজ। কটেজের প্রতিটি কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সে কটেজে দুই জনের জন্য একটি রুমের ভাড়া রাত প্রতি ৩ হাজার টাকা। যার ফলে বলা যায় অনৈতিক কার্যক্রমের এক আড্ডাখানা মরজালের ‘ওয়ান্ডার পার্ক’। এ ওয়ান্ডার পার্কটি ঘুরে এসে অনেকেই পার্ক সম্পর্কে নানা মন্তব্য প্রকাশ করেন।
জানা যায়, ৩৮ একরের আয়তন জুড়ে পার্কটির অবস্থান। ভেতরে রয়েছে বিলাসবহুল একাধিক কটেজ।এ ছাড়া পার্কে রয়েছে বিভিন্ন বয়সীদের জন্য বেশ কিছু রাইড। পুরো পার্কজুড়ে বিভিন্ন ভাস্কর্য ও স্থাপনা এবং বিশাল আয়তনের একটি লেক।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঈদের আমেজ কাটানোর জন্য অনেকে ছুটে যান সেখানে। একটু ভেতরে যেতেই চোখে পড়বে কিছু উঠতি বয়সের যুবক-যুবতিরা জুটিবদ্ধ হয়ে ঝোপঝাড়ে এবং বসার জন্য বানানো খুপরি ঘরে বসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে।যা সাধারণ মানুষের হাঁটাহাটির সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
ভেতরে দর্শনার্থীদের বসার জন্য বানানো বিভিন্ন খুপরি ঘর ও নির্জন স্থানে ভাস্কর্যের আদলে বানানো বসার স্থানে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে এবং বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে রয়েছে।
এ পার্কের আশেপাশের এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবৈধভাবে জোরপূর্বক জমি দখল করে লায়লা কানিজ লাকী পার্কটি স্থাপন করেছেন। তাছাড়া এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, এ পার্কের মালিক লায়লা কানিজ লাকী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পার্কটি বর্তমানে চালাচ্ছেন। ফলে পার্কের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কিছু বলার সাহস পায় না।
পার্কের এমন শত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পার্কের ম্যানেজার সৈয়দ ইমরান হোসেন সজিব বলেন, আমরা এই পার্ক তৈরি করেছি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আনন্দ উপভোগ করার জন্য। আর এখানে যেহেতু ইকো রিসোর্ট করা হয়েছে তাতে কেউ আসলে তাদের ভাড়ার মাধ্যমে রুম দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মাদকের বিষয়টি আর অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।