জুমবাংলা ডেস্ক : অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণে ২৫০ সালের মধ্যে ৪০ মিলিয়ন বা চার কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এএমআর-এর যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূত এবং ইংল্যান্ডের সাবেক চিফ মেডিকেল অফিসার, স্যালি ডেভিস রবিবার অবজারভারকে বলেছেন।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য ধরণের জীবাণু তাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তথাকথিত “সুপারবাগ” তৈরি করে। ফলস্বরূপ, ওই সব রোগ বা সংক্রমণগুলি চিকিৎসা করা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এএমআরকে একটি ক্রমবর্ধমান “অ্যান্টিবায়োটিক জরুরী” অবস্থা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যা সার্জারি এবং প্রসবের মতো রুটিন চিকিৎসা পদ্ধতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকিও বাড়ছে।
এএমআর বছরে আনুমানিক এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ মৃত্যুর জন্য দায়ী। তবে ডেভিসের মতে এই সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে। বয়স্ক জনসংখ্যা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, এসব ক্ষেত্রে ৭০ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার ১৯৯০ সাল থেকে ৮০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন এবং অপব্যবহার সীমিত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, সমস্ত বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিকের প্রায় ৭০ শতাংশ বিশ্বব্যাপী পশুসম্পদে ব্যবহৃত হয়।
ডেভিস বলেন, “আমরা মূলত গরু, মুরগি এবং ভেড়ার উপর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করছি। যাতে তাদের বৃদ্ধির প্রবর্তক বা রোগের বিস্তার রোধ করার যায়। তাদের প্রতিষেধক দেওয়ার সস্তা বিকল্প হিসাবে।” “যদি আপনি নিবিড় চাষ করেন যেখানে প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় বা একটি ব্যস্ত হাসপাতালে যেখানে দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে, প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া জলপথে প্রবেশ করতে পারে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।