বিনোদন ডেস্ক : এ যুগের ঘটনা হলে হয়তো এত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হত না, এমনই মনে হয় অনুর। যদিও নিজে তিনি সময়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন বলেই জানান। ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি বজায় রাখতে চাইলেই তা সব সময় সম্ভব হয় না।
কেউ না কেউ ঢুকে পড়েন। ‘আশিকি’র অভিনেত্রী অনু অগরওয়ালের জীবনেও তাই হয়েছিল। বয়স থাকতে যৌবনের আনন্দ উপভোগ করা হয়নি বলে আক্ষেপ তাঁর। জানালেন, প্রেমিকের সঙ্গে একত্রবাস করছিলেন, তবু ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস পড়ত প্রেমিকের মায়ের। গোপনীয়তা বলতে কিছুই ছিল না সে সময়। মনে পড়তেই এখন-তখনের তুলনা টানলেন অনু।
এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, একত্রবাসে তিনি যেমন প্রেমিকের মাকে মেনে নিয়েছিলেন, তাঁর উপস্থিতিও মানতে হয়েছিল সেই মহিলাকে। যদিও কথা উঠেছিল। নানা কিছু শুনতে হয়েছিল অনুকে। এ যুগের ঘটনা হলে হয়তো এত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হত না, এমনই মনে হয় অনুর।
যদিও নিজে তিনি সময়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন বলেই জানান। তাঁর কথায়, “নব্বইয়ের দশকে যখন আমি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছি, লোকে আমায় জিজ্ঞাসা করত, কান? সে আবার কী জিনিস?” তবে অনু বরাবরই ইতিবাচক। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও আস্থা রেখেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গিয়ে অনু টেনে আনলেন একত্রবাসের কথা। বললেন, “সে সময় লিভ ইন করা সহজ ছিল না। কেউ ভাল চোখে দেখত না। কিন্তু আমি যার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, তার মা আমায় মেনে নিয়েছিলেন।
তিনিও আমাদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু বন্ধুবান্ধবই উল্টোপাল্টা কথা বলতে শুরু করল। কাগজে লেখা হল আমায় নিয়ে। তখন সমাজমাধ্যম ছিল না, তাই আমার কোনও বক্তব্য ধোপে টেকেনি। নিজের কথা বলার জায়গাই পেলাম না।” অনুর আক্ষেপ, এ ভাবেই ব্যক্তিগত জীবন চৌপট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। শুধু ব্যক্তিত্বের জোরে কাজের জায়গায় নিজের মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।