বিনোদন ডেস্ক : একরত্তি ভামিকাকে ঘরে রেখে দিন রাত শ্যুটিংয়ের কাজে পড়ে আছেন অনুষ্কা। মেয়ের কাছে ফিরতে পারেন কই? ওদিকে সন্তানের জন্য সব সময়ই মায়ের মন উচাটন, উদ্বেল হয়ে থাকে। কিন্তু সেই অনুভূতি বাইরের কেউ কি বোঝেন? এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সদ্য মা হওয়া বিরাট-ঘরনি। প্রশ্ন তুললেন সমাজের সহমর্মিতা নিয়ে।
‘জিরো’-র অভিনেত্রীর দাবি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক জন মায়ের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো মূল্য পায় না। সেই অবস্থায় কাজ করা যায়? যাঁরা করেন, তাঁদের অনেকখানি ভার বহন করতে হয়। অনুষ্কা জানান, যত দিন না মা হয়েছেন, এই সব বুঝতেন না। এখন যখন বুঝতে পারেন, তখন দেশের সমস্ত কর্মরত মায়ের জন্য তাঁর চোখ ভিজে যায়।
অনুষ্কা জানান, এমনিতেই কাজের জায়গা আর ঘর এক সঙ্গে সামলাতে হয় কর্মরত মহিলাদের। তার উপর কেউ যদি মা হন, সন্তানের দায়িত্বও বহন করতে হয়। কিন্তু সময় কই? দিন-রাত খাটুনির পর তাঁর নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থাটুকুও করে দেয় না অনেক সংস্থা। কর্মস্থলেও অনেকেই সহযোগিতা করেন না। কেউ কেউ সেই কর্মরত মায়ের অনুভূতিগুলো বুঝতে অপারগ।
মা হওয়ার পর নিজেও কাজের জগতে ফিরেছেন অনুষ্কা। তবে তাঁরও অভিজ্ঞতা ভাল কিছু নয়। শুরুতে ভেবেছিলেন পারবেন না। ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এর মতো চ্যালেঞ্জিং ছবির মুখ্য ভূমিকায় তিনি। নদিয়ার মেয়ে তথা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর জীবন ফুটিয়ে তুলছেন তিনি এই ছবিতে। সেখানে সহযোগিতা না পেলে চলে? প্রসবের ধকল থাকে। দৌড়ঝাঁপ শরীরে দিচ্ছিল না অনুষ্কারও। কিন্তু মনের জোরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সমস্ত মায়ের প্রতি তাঁর ভালবাসা জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের সন্তানদের প্রতি সমষ্টিগত মনোযোগ দাবি করছি। ওরাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।