বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন প্রায় সবার হাতেই রয়েছে নানা ধরনের মোবাইল ফোন। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই জিনিসটি ছাড়া এখন দৈনন্দিন জীবন কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু মাঝেমাঝেই মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা শোনা যায়। মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কিছু কারণ রয়েছে। যেমন-
প্রযুক্তিগত ত্রুটি: অনেক সময় নির্মাতা সংস্থার ভুলে মোবাইল ফোনে একাধিক ত্রুটি থেকে যায়। আর এই ত্রুটির কারণেই ফোনের ভিতরে থাকা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়। সাধারণত নিম্ন মানের ব্যাটারি ব্যবহৃত হলে শর্ট সার্কিট হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।
ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে: কখনও কখনও ফোন হাত থেকে পড়ে গেলে, পানি ঢুকে গেলে কিংবা অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে ভিতরের ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়। এই ধরনের ব্যাটারি ব্যবহার করতে গেলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষ করে ব্যাটারি ফুলে গেলে দ্রুত সেটি বদলানো দরকার।
খারাপ চার্জার: ফোনের সঙ্গে যে চার্জার দিয়ে দেওয়া হয়, চার্জ দিতে সেটিই ব্যবহার করা উচিত। একই রকম দেখালেও নিম্নমানের চার্জার ব্যবহার করলে ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। খারাপ হয়ে যেতে পারে ভিতরের যন্ত্রপাতি। এমনকি ফোনের ব্যাটারিতে দেখা দিতে পারে শর্ট সার্কিটের সমস্যা।
সারা রাত চার্জ দেওয়া: অনেকেই সারা দিন ব্যবহারের পর ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোনটি চার্জে দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে দীর্ঘ ক্ষণ ফোন চার্জে বসিয়ে রাখলে ফোনের অভ্যন্তরের বিদ্যুৎ পরিবাহী সার্কিটগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদিও এখন অধিকাংশ স্মার্টফোনেই পুরো চার্জ হয়ে গেলে নিজে থেকেই চার্জ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পন্থা থাকে। তবুও অনেকে ফোন চার্জে দিয়ে ব্যবহার করতে থাকেন। এই কাজেও বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত চাপ: ফোনের র্যাম ও প্রসেসর যতই ভাল হোক, তারও ক্ষমতার একটি সীমা রয়েছে। একাধিক কাজ একই সঙ্গে করলে ও বেশি গ্রাফিক্সের গেম ক্রমাগত খেললে খুবই চাপ পড়ে ফোনে। এর ফলেও ফোন গরম হয়ে বিস্ফোরণ হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।