লোহার রড ধরে যদি ঝুলে থাকতে বলা হয়, তবে টানা কত ক্ষণ ঝুলে থাকতে পারবেন? যদি ভাবেন, এ আর এমনকি ব্যাপার! তবে জেনে রাখুন, টানা দেড় থেকে দু’মিনিট ঝুলে থাকতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায় অধিকাংশের। তবে কেউ যদি সেটুকুও করে দেখাতে পারেন, তবে বুঝতে হবে, তাঁর শরীর অনেক ঝড় বইতে সক্ষম! এমনকি, আপনি কত দিন বাঁচবেন, তা-ও বোঝা যাবে এই পরীক্ষা থেকে।
অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু সম্প্রতি দেড় মিনিটের ডেড হ্যাং করে অবাক করে দিয়েছেন ফিটনেস পিপাসুদের। সামান্থার পোস্ট করা ওই ভিডিয়োয় তাঁকে দেখা যাচ্ছে টানা ৯০ সেকেন্ড তিনি লোহার রড ধরে ঝুলে রয়েছেন সামান্থা।
ঝুলে থাকার ওই পরীক্ষার একটি নামও আছে— ‘ডেড হ্যাং’।হাতের মুঠো আলগা হয়নি তাঁর। কিন্তু এই পরীক্ষা শরীর সম্পর্কে কোন কোন অজানা তথ্য জানায়? জবাব লুকিয়ে রয়েছে গত ২৮ জুলাই পোস্ট করা সামান্থার ডেড হ্যাং ভিডিয়োতেই।
সফল ডেড হ্যাং কী প্রমাণ করে?
সামান্থা তাঁর ভিডিয়োর সঙ্গে জুড়েছেন আরও একটি ভিডিয়ো। যেখানে কানাডা-আমেরিকান বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক পিটার অ্যাটিয়া বোঝাচ্ছেন, কেন দেড় মিনিটের এই ডেড হ্যাং গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলছেন—
১। ডেড হ্যাং আসলে মুঠোর জোর পরীক্ষা করার একটি দারুণ পন্থা। যে মুঠোর জোর দেখলে বোঝা যায়, কোনও মানুষের শরীরের উপরিভাগের জোর কতটা। তিনি সুস্থ ভাবে কত দিন বাঁচতে পারবেন।
২। ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে, মুঠোর জোর কমার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়েছে।
৩। শরীরের ভারসাম্য এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে যে সমন্বয় বজায় থাকা জরুরি, তা স্নায়ু এবং মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। মুঠোর জোরের প্রভাব দেখা গিয়েছে, পেশি, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্যেও। এমনকি, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে মুঠোর জোর বজায় থাকলে।
৪। মুঠোর জোর শুধু হাতের জোর নয়, এটি গোটা শরীর এবং পেশির ক্ষমতার কথা বলে। লোহার রড ধরে দেড় মিনিট ঝুলে থাকা মানে দু’হাতের মুঠোর শক্তিতে গোটা শরীরের ওজন ধরে রাখা। যা সহজ নয়। তবে এটি কেউ করে দেখাতে পারলে তা ওই ব্যক্তির সার্বিক ক্ষমতার কথাই বলে।
কী ভাবে বুঝবেন আপনার মুঠোর জোর কতখানি?
১। পিটার জানাচ্ছেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে ৯০ সেকেন্ড এবং পুরুষেরা যদি ২ মিনিট লোহার রড ধরে ঝুলে থাকতে পারেন, তবে বুঝতে হবে, তিনি ডেড হ্যাং পরীক্ষায় পাশ করেছেন। তাঁদের শারীরিক ক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেক বেশি।
২। এ ছাড়াও আরও এক ভাবে মুঠোর জোর পরীক্ষা করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন পিটার। তিনি বলছেন, ওজন বওয়ার ক্ষমতা পরীক্ষা করে মুঠোর জোর বোঝা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে কোনও পুরুষের ওজন যদি ১০০ কেজি হয়, তবে তিনি একটি হাতে ৫০ কেজি ওজন নিয়ে যদি এক মিনিট হাঁটতে পারেন। তবে বুঝতে হবে তাঁর মুঠোর জোর রয়েছে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি করার সময় পিটার বলছেন, তাঁকে তাঁর ওজনের তিন-চতুর্থাংশ ওজন নিয়ে হাঁটতে হবে ৪৫ সেকেন্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।