Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home সর্বনাশা ‘স্টোন ব্রিকস’, ফসলি জমি ধ্বংসের মহোৎসব
    জাতীয় বিভাগীয় সংবাদ

    সর্বনাশা ‘স্টোন ব্রিকস’, ফসলি জমি ধ্বংসের মহোৎসব

    Saiful IslamMay 2, 20248 Mins Read
    Advertisement

    মাহবুব আলম লাবলু : ঢাকার উপকণ্ঠ মানিকগঞ্জ। তুলনামূলক ধীরে হলেও শিল্পকারখানার বিস্তৃতি ঘটছে জেলাজুড়ে। এরপরও বেশির ভাগ মানুষের মূল জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। তাই সোনালি ফসল ঘিরেই স্বপ্ন বুনেন সেখানকার বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু ‘স্টোন ব্রিকস লিমিটেড’ নামের একটি স্বয়ংক্রিয় ইট তৈরির কারখানা ঘিওর ও শিবালয় উপজেলার হাজারো কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ২ লাখ ইট উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানাটিতে মাটির জোগান দিতে ধ্বংস করা হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। এ মহোৎসবে মেতেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় ৬০০ বিঘা তিন ফসলি জমির মাটি কেটে এ কারখানায় বিক্রি করেছেন তারা। চক্রের সদস্যরা এলাকাবাসীর কাছে ‘মাটিখেকো’ হিসাবে পরিচিত।

    Stone Bricks

    অভিযোগ আছে, জমির মালিকদের অর্থের প্রলোভন, ভয়ভীতি কিংবা কূটকৌশল খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে নেন তারা। এ কাজে অনেকে ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হয়েছেন। বিগত বছরগুলোয় এর পেছনে স্থানীয় সাবেক সংসদ-সদস্যের মদদ থাকায় সব জেনেও চুপ থেকেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তবে এবার এ এলাকার সংসদ-সদস্য হয়েছেন নতুন মুখ সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এসএম জাহিদ)। তার দিকে তাকিয়ে কৃষকরা। মাটি কাটতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে একাট্টা হয়েছেন তারা। মামলা করেছেন চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করেছেন। স্টোন ব্রিকসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘিওর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। রহস্যজনক কারণে তা কার্যকর হচ্ছে না। সরেজমিন অনুসন্ধানে কৃষকের দুঃখগাথার পাশাপাশি ‘মাটিখেকোদের’ নির্মমতার নানা কাহিনি উঠে এসেছে।

    জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ-সদস্য এসএম জাহিদ বলেন, “আগে জোর করে যে যার ইচ্ছামতো মাটি কেটে নিয়ে যেত। এখন কেউ সেটা করতে পারছে না। কৃষক যদি বিক্রি না করেন, তাহলে কেউ ফসলি জমির মাটি কাটতে পারবে না। আমি সেই ব্যবস্থা অন্তত করতে পেরেছি। এখন প্রশাসন যদি ‘ম্যানেজ’ থাকে আর জমির মালিক মাটি বিক্রি করে, তাহলে আমার পক্ষে তা বন্ধ করা সম্ভব না। শুধু ধানি জমি কাটা নয়, আমি একদিক দিয়ে ড্রেজিং বন্ধ করেছি, অন্যদিক দিয়ে প্রশাসনের ইশারায় চালু করা হয়েছে। সবকিছু কন্ট্রোল করা আমার পক্ষে সম্ভব না।” এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায়-অপকর্মে জড়ালে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। বাসার ও অনি আমার কাছের লোক না। তাদের আমি চিনি না। তাছাড়া অনেক মানুষ আছে কারও ভালো কাজের সুনাম করতে জানে না। আমার ক্ষেত্রেও হয়তো কেউ কেউ দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করছেন।’

    রাজধানী থেকে সড়কপথে দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাচুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের আগেই স্টোন ব্রিকস নামের কারখানাটির দেখা মেলে। এলাকাবাসী জানান, ২০১৮ সালে ছোট আকারে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়। তখনও এলাকার মানুষ বুঝতে পারেনি এটাই একসময় তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে। শুরুতে কারখানার আশপাশের জমি কিনে সেখান থেকে মাটি কেটে ইট তৈরির কাজ চলতে থাকে। পরবর্তী সময়ে কারখানার ব্যাপ্তি বাড়ায় বাড়ে মাটির চাহিদা। শুরু হয় ফসলি জমি ধ্বংসের মহোৎসব। এ কাজে যোগ দেন স্থানীয় সাবেক সংসদ-সদস্যের স্বজন এবং তাদের অনুসারীরা।

    সম্প্রতি সরেজমিন তিন দফা ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পাচুরিয়া, পুখুরিয়া, ধূলন্ডী, চৌবাড়িয়া, আঙ্গুরপাড়া এবং শিমুলিয়া ও বানিয়াজুরি ইউনিয়েনের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। চৌবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী তার করলাখেত দেখিয়ে জানান, ধূলন্ডী গ্রামের এক ব্যক্তির জমি বন্ধক নিয়ে আবাদ করে আসছিলেন। এবার জমিতে পেঁয়াজ ও করলার যৌথ চাষ করেন তিনি। পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করার পর করলা বিক্রি শুরু করবেন-এমন সময় খেতের ওপর নজর পড়ে মাটিখেকোদের। তারা জমির মূল মালিকের কাছ থেকে খেতটির মাটি কেনার চুক্তি করেন। রাতারাতি কৃষক ওয়াজেদ আলীর বন্ধকির টাকা ফেরত দিয়ে খেতে যেতে নিষেধ করা হয়। যে কোনো সময় এ খেতের মাটি কাটা হবে। আঙ্গুরপাড়া গ্রামের কৃষক মোনছের আলী বলেন, ‘ঠিক একই কায়দায় গত বছর এক রাতের ব্যবধানে আমার ধরন্ত করলাখেতের মাটি কেটে ২০ ফুট গভীর পুকুরে পরিণত করা হয়।’ এ সময় তার পাশে উপস্থিত সিদ্দিক মিয়া, মঙ্গল মিয়া, তমছের আলীসহ ২৫-৩০ জন কৃষক প্রায় অভিন্ন সুরে অভিযোগ করেন, ‘টাকার প্রলোভন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ভীতির কারণে আমারা প্রতিবছরই তিন ফসলি জমি হারাচ্ছি। সর্বনাশা স্টোন ব্রিকস এখন আমাদের জন্য অভিশাপ। আবাদি জমি বাঁচাতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।’

    অম্লপুর ধূলন্ডী গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘৪ এপ্রিল রাতের অন্ধকারে আমার ধানখেত খননযন্ত্র (এক্সকেভেটর বা ভেকু) দিয়ে কেটে ডাম্প ট্রাক চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়। স্থানীয় মাটিখেকোদের সহযোগী লিটন এ কাজ করে।’ প্রতিবেশী কৃষক সেন্টু মিয়া বলেন, ‘লিটন একইভাবে আমার ১৩ শতাংশ জমির পাট নষ্ট করেছে।’ এ ঘটনায় লিটনের নামে থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। কয়েকদিনের মধ্যেই আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফের জমিতে মাটি কাটতে যায়। তখন এলাকাবাসীর ঘেরাওয়ের মুখে ভেকু ফেলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় লিটন। এরপর থেকে ধূলন্ডী গ্রামের কৃষকরা কৃষিজমি রক্ষায় রাতে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ-কৃষিজমির সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন এবং পরিবেশ আইন অমান্য করে চলছে তিন ফসলি জমি ধ্বংযজ্ঞের মহোৎসব। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করছে মাটিখেকোরা। প্রথমে এলাকার চিহ্নিত দালালরা কৃষকদের লোভনীয় অফার দিচ্ছে। রাজি না হলে দেওয়া হচ্ছে হুমকিধমকি। তাতেও কৃষক রাজি না হলে রাতের অন্ধকারে জোর করে মাটি কেটে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বিগত বছরগুলোয়। এবারও সেরকম পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। তবে আঙ্গুরপাড়া, চৌবাড়িয়া ও ধূলন্ডী গ্রামের কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে এবার এসব চকে মাটি কাটতে চক্রের সদস্যদের বেগ পেতে হচ্ছে। তাই এবার তারা নতুন নতুন চকে নজর দিচ্ছে।

    জানা যায়, বানিয়াজুরি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি চকে এবার নজর পড়েছে মাটিখেকো চক্রের। সরেজমিন দেখা যায়, মোড়াবাড়ি এলাকার ভুবনেশ্বর মৌজা থেকে আরএস ১১ খতিয়ানভুক্ত ৯২ শতাংশ কৃষিজমিসহ আশপাশের অন্তত ১৪ বিঘা জমির মাটি কেটে স্টোন ব্রিকসে সরবরাহ করা হচ্ছে। ডাম্প ট্রাকযোগে এ মাটি বহনকালে বিভিন্ন ব্যক্তির জমির ফসল নষ্ট করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মুন্নুগেট থেকে বানিয়াজুরি পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়ক। সড়কটির বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটলও ধরেছে। অতিরিক্ত ওজনের মাটিবাহী ট্রাক বেইলি ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করায় ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও শোলধারা চক থেকে কাটা মাটিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে নালী ইউনিয়ন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ রক্ষায় পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির ঘিওর থানায় মামলা করেছেন। ২৮ মার্চ দায়ের করা অভিযোগে তিনি বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে কে বা কারা কৃষিজমির মাটি কেটে ডাম্প ট্রাকে পরিবহণ করছে। এতে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাতে মাটি পরিবহণ করা হয় বিধায় মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষভাবে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। ৪ এপ্রিল অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হলেও থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় বেড়িবাঁধ দিয়ে মাটিবাহী ডাম্প ট্রাক নির্বিঘ্ন চলাচল করতে দেখা গেছে।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঘিওরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঢাকা-আরিচা ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে বাঠুইমুরি পর্যন্ত এফআরএ রোড চলমান প্রকল্পের ৫০০ মিটার কাজ স্টোন ব্রিকসে মাটি নেওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।

    জানতে চাইলে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘মাটি কারা কাটছে, সবাই জানে। অথচ মামলায় তাদের আসামি করা হয়নি। মাটি কেটে কৃষকের ক্ষতি করা সংক্রান্ত তিনটি মামলা আমরা গ্রহণ করেছি। তদন্ত শেষে আসামি গ্রেফতার এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’ মামলার পরও মাটি কাটা বন্ধ এবং জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারছেন না কেন-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাপ সব সময় আমাদের ওপরই আসে। ইউএনও সাহেবকেও বিষয়টি নিয়ে একটু জিজ্ঞাসা করেন। এখানে সবার বিবেক জাগ্রত হতে হবে। আপনি জাতির বিবেক। এটা নিয়ে শক্ত করে লেখেন।’

    কৃষকদের অভিযোগ, ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসবে জড়িতদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাসারের নাম। তিনি সাবেক সংসদ-সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের খাস লোক ছিলেন। দুর্জয়কে কমিশন দিয়েই তিনি এ ব্যবসায় রাজত্ব করেছেন বলে অভিযোগ আছে। কেউ কেউ বলেছেন, ‘অদৃশ্য জাদুর কাঠির পরশে তিনি বর্তমান সংসদ-সদস্যের কাছের লোক বনে গেছেন। সেই সুবাদে তার দাপটই এবার বেশি। এছাড়া সাবেক সংসদ-সদস্যের চাচাতো ভাই হিসাবে পরিচিত মফিজুর রহমান অনিও কৌশলে নতুন সংসদ-সদস্যের দলে ভিড়েছেন।

    মাটি বাণিজ্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মফিজুর রহমান অনি বলেন, ‘আমার কোনো মাটির ব্যবসা নেই। আগে করতাম, এখন করি না।’ আবুল বাসারের বক্তব্য জানতে শনিবার বিকালে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    জানা যায়, সংসদ-সদস্য এসএম জাহিদের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন আনোয়ার এন্টারপ্রাইজের নামে ২ কোটি বর্গফুট মাটি কেনার কার্যাদেশ দিয়েছে স্টোন ব্রিকস। প্রতি বর্গফুট মাটির দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে ৮ টাকা ৭৫ পয়সা আনোয়ার তুলে মাটি সরবরাহকারীদের সঙ্গে ভাগবাঁটোয়ারা করেন। বাকি ১ টাকা ৮৫ পয়সা বিভিন্ন মহলে ভাগ করে দিতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে শনিবার বিকালে আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।

    স্টোন ব্রিকসের নির্বাহী পরিচালক মীর রজ্জব আলীর সঙ্গে পরিচয় গোপন রেখে মাটি সরবরাহকারী হিসাবে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মাটি সরবরাহ নেওয়া শেষ করে ফেলি। এবার মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মাত্র ১৭-১৮ লাখ বর্গফুট মাটি পেয়েছি। নানা ঝামেলায় ঠিকাদারের লোকরা চক থেকে মাটি কাটতে পারছে না। ফ্যাক্টরি চালাতে আমাদের মাটি দরকার। মাটি না হলে ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশাসনের লোকজনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সবাই আমাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়।’ রোববার এ প্রতিবেদকের পরিচয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার ১ কোটি মাটির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আনোয়ার হোসেন, আবুল বাসার ও মফিজুর রহমান অনি মাটি সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত কমবেশি ৫০ লাখ বর্গফুট মাটি দিয়েছে। কার্যাদেশে নিয়মের ব্যত্যয় করে কেউ যাতে মাটি না কাটে, সে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

    জানা যায়, ঘিওর ও শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, মাটিখেকো হিসাবে পরিচিত একাধিক ব্যক্তি দুটি উপজেলায়ই চেয়ারম্যানপ্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের টাকার দাপটে অন্য প্রার্থীরা কোণঠাসা। তাই কোনো কোনো প্রার্থী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সমাবেশে তাদের ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

    জানা যায়, ৮ এপ্রিল ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ঘিওর ও শিবালয়ের কৃষিজমি রক্ষা ও মাটি কাটা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জমা দিয়েছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি।

    জানতে চাইলে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে কারও ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ পেলেই আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কারখানার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা দেখার নির্দেশনা পেয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ সূত্র : যুগান্তর

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় ‘ধ্বংসের’ জমি ফসলি বিভাগীয় ব্রিকস মহোৎসব সংবাদ সর্বনাশা স্টোন’
    Related Posts
    সাখাওয়াত হোসেন

    আমরা না, প্রবাসীরাই দেশ চালাচ্ছেন: সাখাওয়াত হোসেন

    October 22, 2025
    ইসি

    প্রবাসীদের জন্য নির্বাচনী অ্যাপ উন্মুক্ত করার তারিখ জানালো ইসি

    October 22, 2025
    rain

    সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    October 22, 2025
    সর্বশেষ খবর
    সাখাওয়াত হোসেন

    আমরা না, প্রবাসীরাই দেশ চালাচ্ছেন: সাখাওয়াত হোসেন

    ইসি

    প্রবাসীদের জন্য নির্বাচনী অ্যাপ উন্মুক্ত করার তারিখ জানালো ইসি

    rain

    সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Logo

    এক লাখ টন সেদ্ধ ও আতপ চাল কিনবে সরকার

    সিইসি

    ভোটে অন্যায় হুকুম দেব না : সিইসি

    patuakhali

    জুলাই শহীদের মেয়েকে ধর্ষণ : তিন আসামির কারাদণ্ড

    আইন উপদেষ্টা

    বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

    সেনানিবাসের সাবজেলে

    ট্রাইব্যুনাল থেকে সেনানিবাসের সাবজেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

    আইন উপদেষ্টা

    বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা

    পুলিশ

    পদোন্নতি পেয়ে এএসপি হলেন ৮০ পুলিশ পরিদর্শক

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.