এই লেজার সিস্টেমটি NATO দেশগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার এই প্রযুক্তির চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। EOS কোম্পানির ৪০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরিতে।
Apollo লেজারের বিশেষ ক্ষমতা
Apollo লেজারের ক্ষমতা ১০০ কিলোওয়াট-ক্লাসের। এটি ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে কাজ করতে পারে। এটি যেকোনো গাড়িতে লাগানো সম্ভব। এটি ড্রোনের সেন্সর নষ্ট করতে পারে ৯ মাইল দূরত্ব থেকে।
লেজারটি ১.৮৬ মাইল রেঞ্জের মধ্যে ড্রোন সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারে। এটি বাহ্যিক পাওয়ার সোর্সের মাধ্যমে অনির্দিষ্টকাল ধরে কাজ করতে পারে। EOS-এর সিইও ড. আন্ড্রিয়াস শোয়ার বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রযুক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ড্রোন যুদ্ধে কেন Apollo গুরুত্বপূর্ণ?
বর্তমান বিশ্বে ড্রোন হামলা একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ। রাশিয়া নিয়মিতভাবে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। গাজা সংঘাতেও ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে Apollo লেজার একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।
Apollo শুধু ড্রোন ধ্বংসই নয়, ড্রোনের অপটিক্যাল সিস্টেমও বিকল করতে পারে। এটি একসাথে টার্গেট শনাক্ত করতে পারে। রাশিয়ান ড্রোনগুলোর গতি ২০০ মাইল প্রতি ঘন্টা হলেও Apollo সহজেই সেগুলো মোকাবেলা করতে পারবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা
Apollo লেজার সিস্টেম আগামী দুই বছরের মধ্যে একটি NATO দেশে সরবরাহ করা হবে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও লেজার সিস্টেম করছে। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের যুদ্ধের চেহারা বদলে দিতে পারে।
এই লেজার সিস্টেম সম্পূর্ণ ITAR-মুক্ত। এটি বিশ্বব্যাপী সহজে রপ্তানি করা যাবে। EOS কোম্পানি বিশ্বাস করে যে Apollo লেজার আধুনিক সামরিক বাহিনীর জন্য একটি গেম-চেঞ্জিং প্রযুক্তি হবে।
জেনে রাখুন-
Q1: Apollo লেজার কী?
এটি একটি হাই-এনার্জি লেজার অস্ত্র যা ড্রোন ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়।
Q2: Apollo লেজার কতটি ড্রোন ধ্বংস করতে পারে?
এটি একবার চার্জে ২০০টি পর্যন্ত ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম।
Q3: Apollo লেজারের রেঞ্জ কত?
এটি ১.৮৬ মাইল দূরত্ব পর্যন্ত ড্রোন ধ্বংস করতে পারে।
Q4: Apollo লেজার কীভাবে ড্রোনের সেন্সর নষ্ট করে?
এটি ৯ মাইল দূরত্ব থেকে ড্রোনের অপটিক্যাল সেন্সর বিকল করতে পারে।
Q5: Apollo লেজার কবে ব্যবহার শুরু হবে?
আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি NATO দেশগুলোতে ব্যবহার শুরু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।