বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট জাতির জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ‘অ্যাপসিটি’ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
মঙ্গলবার রাজধানী লা মেরিডিয়ান হোটেলে অ্যাপ মার্কেটপ্লেসটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তরুণদের সম্পৃক্ত করতে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অ্যাপসিটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণই এটি গড়ে তুলবে। একটি স্মার্ট জাতি গড়ার লক্ষ্যে অ্যাপসিটির জন্য আয়োজিত হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। উদ্ভাবনের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান পেটার-বরে ফারবার্গ বলেন, ‘গ্রামীণফোন অ্যাপসিটি গড়ে তোলায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি শুধু ডেভেলপারদেরই ক্ষমতায়ন করবেনা পাশাপাশি সমৃদ্ধ গ্রাহক অভিজ্ঞতার অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখবে। “স্মার্ট বাংলাদেশ এর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এই ইন্ডাস্ট্রি-ফার্স্ট উদ্যোগটি দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ডিজিটাল রূপান্তরে অবদান রাখার জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘অ্যাপসিটি-এর মাধ্যমে আমরা আরও সংযুক্ত এবং স্মার্ট ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছি। এই প্ল্যাটফর্মটি একটি স্মার্ট, অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, এবং টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ধারণ করে। শুধু প্রথাগত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান নয়, আমাদের উদ্দেশ্য মানুষেকে সংযোগের আওতায় এনে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। গ্রামীণফোন অত্যাধুনিক আইসিটি এবং আইওটি সমাধানগুলি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তার পোর্টফোলিওকে ঢেলে সাজিয়েছে, যাতে একটি আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের গতিশীল চাহিদা পূরণে আমরা এগিয়ে থাকি।’
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের উদ্ভাবনী সেবার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। পণ্যের সহজীকরণ এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব। জিপিফাই-এর মতো স্মার্টহোম সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করেন চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম। চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ আলোর স্মার্টলাইফ সম্পর্কে কথা বলেন যা পরবর্তী প্রজন্মের উদ্ভাবনী আইওটি প্রোডাক্ট লাইন ও অ্যাপ।
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন টেলিনর গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ৮.২০ কোটি গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সমাজের ক্ষমতায়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে গ্রামীণফোন দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।