জুমবাংলা ডেস্ক : কোরবানির ঈদের জন্য সারাদেশের খামারিরা ইতোমধ্যে হাটে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন গরু-ছাগল-মহিষ-উট। প্রতিবারের মতো এবারও বড় আকৃতির পশুগুলো বিক্রি করতে বাহারি নাম দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ১০ লাখ টাকা দাম হাঁকানো টাঙ্গাইলের “মেসি”-কে নিয়ে তো রীতিমতো হৈ-চৈ পড়ে গেছে।
একই দাম হাঁকানো হয়েছে ফরিদপুরের “সম্রাট”-এর জন্য। ৩৮ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি এরই মধ্যে স্থানীয় বাজারে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
তবে মালিকরা জানান, ফরিদপুরে বড় গরু কেনার মতো যুৎসই ক্রেতা মিলছে না। তাই গরুটিকে রাজধানীর বাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
সাড়ে তিন বছরের এই গরুটি লম্বায় ১১ ফুট এবং এর উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। মালিকের আশা, এবার হয়তো তিনি কাঙ্ক্ষিত ক্রেতাও পেয়ে যাবেন।
সম্রাট বড় হয়েছে ফরিদপুর শহরের উত্তর বিলমামুদপুরের মাইশা ডেইরি ফার্মে। দাবি করা হচ্ছে, ৩৮ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড় গরুটিই ফরিদপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরু।
খামারের শ্রমিকেরা বলেন, “বড় গরু পালন করা অনেক কষ্টের কাজ। ভোর ৪টা থেকে উঠে আমরা কাজ শুরু করি। প্রতি মুহূর্তেই এদের জন্য খাবার তৈরি করা, পরিচ্ছন্ন রাখাসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। রোগাক্রান্ত হলে সেই গরুকে আলাদা করে ফেলতে হয়।”
মাইশা ফার্মের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, “এই ফার্মে ৪২ মাস আগে সম্রাটের জন্ম। গরুটি থেকে ১২০০ কেজি মাংস পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক ঘাস আর বিশেষ যত্ন নিয়েই বড় করে তোলা হয়েছে। সঙ্গে বিশেষ খাবার হিসেবে তাকে দেওয়া হয় আপেল, কমলা ও আঙুর।”
সবুজ বলেন, “বড় গরু পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য। কারণ এখানে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মেলে না। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার সময়-সুযোগমতো আমরা সম্রাটকে ঢাকার পশুর হাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনলাইনেও বিক্রির জন্য তথ্য দেওয়া রয়েছে।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৫৩ হাজার ৮০০ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফরিদপুরে কোরবানির পশুর চাহিদা ৪১ হাজারের কিছু বেশি। সে হিসেবে প্রায় ১২ হাজারের বেশি গরু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো জেলার বাইরে বিক্রি করা সম্ভব। জেলায় ৩৩টি পশুর হাট ছাড়াও অনলাইনেও এসব পশু বেচা-কেনা হবে।
ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, “এ বছর কিছুদিন গবাদিপশুর খাবারের দাম একটু বেশি ছিল। তবে এখন আবার সেটি সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। আশা করি খামারিরা ভালো দাম পাবেন। স্থানীয় খামারের গরু দিয়েই ফরিদপুরের চাহিদা মিটিয়ে আমরা বাইরে কোরবানির পশু পাঠাতে পারব।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।