বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অপেরেটিং সিস্টেম ‘আইওএস’-এর নতুন সংস্করণ ‘১৭.৪’ প্রকাশ করেছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। এটিই আইফোনের নতুন ও সর্বশেষ আপডেট।
অপারেটিং সিস্টেমের নতুন এ সংস্করণটিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে এক প্রতিবেদনে আখ্যা দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট। কারণ, এতে এমন কিছু ফিচার রয়েছে যা অ্যাপল আইফোনে প্রকাশ করতে চায়নি। পাশাপাশি, নতুন সংস্করণটি মুক্তি পাওয়ার আগেই এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ বা ‘ডিএমএ’ মেনে চলতে সময়ের আগেই প্রকাশ পেয়েছে আইওএস ১৭.৪। কঠোর এ নিয়ন্ত্রণ নীতি অ্যাপলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপরে নতুন নিয়ম আরোপ করবে। এর মানে হল, আইফোনে গুগলের মতো নির্মাতাদের অ্যাপ স্টোর, যেমন গুগল প্লে, আইফোনের জন্য আনতে পারবে। তবে, সেটি করতে গেলে নির্মাতাদেরও কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, অ্যাপলকে ‘ইনস্টল ফি’ দেওয়া ও কী ধরনের অ্যাপ পাওয়া যাবে তার কিছু নির্দেশিকা মেনে চলা।
পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো অর্থপ্রদানের বিকল্প রাস্তাও খুলে দিচ্ছে এসব পরিবর্তন। অর্থাৎ, অ্যাপলের নিজস্ব পদ্ধতির বাইরে গিয়েও ফি দিতে পারবেন নির্মাতারা। তবে, এটি করার ক্ষেত্রেও অ্যাপলকে ফি দিতে হবে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
এসব ফিচারের কারণে ব্যবহারকারীদের ফোন অপনিরাপদ হয়ে যেতে পারে বলে যুক্তি দিয়েছে অ্যাপল। এর কারণ, কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ডাউনলোড বা অর্থ প্রদান করতে হবে।
‘ডিএমএ’ মেনে চলার চেষ্টা করলেও বছরের পর বছর ধরে প্রয়োজনীয় এসব পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়েছে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।
অ্যাপলের অ্যাপস্টোরের বাইরে থেকেই আইফোনে অ্যাপ ইনস্টলেরর যে পদ্ধতি যেটি সাইডলোডিং নামে পরিচিত, তাতে নানা ধরনের ম্যালওয়্যারওয়ালা অ্যাপ ফোনে ঢুকে যাওয়ার ঝুঁকি যে বাড়ে, সেটি একরকম নিশ্চিতই বলা যায়।
ব্যবহারকারীরা যদি নতুন ফিচারগুলো ব্যবহার করতে না চান, তবে তাদের ফোন আগের মতোই সুরক্ষিত থাকা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ইউরোপীয় ব্যবহারকারীরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারেন বলে যুক্তি দিয়েছে অ্যাপল। কারণ, স্কুল বা কাজের জন্য তাদের অ্যাপ স্টোরের বাইরে থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে বাধ্য করা হতে পারে।
তবে, এ ফিচারগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবহারকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যদি কেউ ইউরোপে থাকাকালীন এগুলো ব্যবহার করেন ও পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অন্য কোথাও চলে যান, তবে তারা এসব টুল ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এ ছাড়া, বিশ্বব্যাপী সবার জন্য প্রধান এক নীতিতে পরিবর্তন এসেছে আইওএস ১৭.৪-এ। ‘এক্সবক্স ক্লাউড গেইমিংয়ের’ মতো বিভিন্ন গেইম স্ট্রিমিং অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে অ্যাপল। এসব অ্যাপের সাহায্যে ইন্টারনেটে বিভিন্ন গেইম খেলার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা।
এর আগে নিজেদের অ্যাপ স্টোর থেকে এসব নিষিদ্ধ করেছিল কোম্পানিটি। তাদের যুক্তিতে, পর্যালোচনা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন সফটওয়্যার ফোনে চলে আসার একটি উপায় এ অ্যাপগুলো।
আপডেটটি পডকাস্টের জন্য নতুন ইমোজি ও প্রতিলিপি নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ‘পিকিউ৩’। এটি অ্যাপলের নতুন নিরাপত্তা টুল যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের কারণে সৃষ্ট হুমকি থেকে বিভিন্ন বার্তা নিরাপদ রাখার জন্য তৈরি বলে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।