বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বড় ধরনের জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছে প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। প্রতিযোগীদের জন্য নিজেদের মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমও খুলে দিতে হবে তাদের। অ্যাপল তাদের প্রযুক্তি ও মোবাইল ওয়ালেটে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঢুকতে দিচ্ছে না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিযোগের পর এমন ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর বলছে, এর আগে ইন্টারনেটভিত্তিক গানের বাজারে প্রতিযোগিতা বিকৃত করার অভিযোগ এসেছিল এই আইফোন নির্মাতা কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগও করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সোমবার (২ মে) ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, অ্যাপলের কাছে একটি অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। সাধারণত এমন অভিযোগকে ‘আপত্তিপত্র’ বলা হয়। তাতে জানানো হয়েছে, বাজারে আধিপত্য থাকায় কীভাবে আইওএস ডিভাইসের মোবাইল ওয়ালেটের অপব্যহার করেছে অ্যাপল। ২০১৫ সালে অ্যাপল পে চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিযোগিতাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এই প্রযুক্তি জায়ান্ট।
ইউরোপের অ্যান্ট্রি-ট্রাস্ট প্রধান মারগ্রেথ ভেস্টাগের এক বিবৃতিতে বলেন, আমার আভাস পেয়েছি, অ্যাপল ডিভাইসে মোবাইল ওয়ালেটে তৃতীয়-পক্ষের প্রবেশ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রতিযোগীদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজারে অন্যদের প্রতিযোগিতা সীমিত করে দিয়েছে অ্যাপল। আপত্তিপত্রে আমরা এ রকম তথ্য পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের অ্যাপল পে’র মাধ্যমে তারা আরও সুবিধা পেতে চাচ্ছে।
এতে অ্যাপলের মোট বৈশ্বিক আয় কিংবা গত বছরের রাজস্ব তিন হাজার ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হতে পারে। যদিও এরআগে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এত বিপুল জরিমানা করেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এক বিবৃতিতে অ্যাপল কোম্পানি বলছে, ইউরোপীয় ভোক্তাদের অর্থ লেনদেনের অনেকগুলো বিকল্পের মধ্যে অ্যাপল পে একটি। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মানদণ্ড নির্ধারণের সময় নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনে (এনএফসি) সবার সমান প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ফ্র্যাংকফুটে তাদের শেয়ারের দরপতন ঘটেছে। স্থানীয় সময় সোমবার সোয়া দুইটায় তাদের শেয়ার দর শূন্য দশমিক সাত শতাংশ কমে গেছে।
অর্থ লেনদেনে ইউরোপের আড়াই হাজার ব্যাংকে অ্যাপল পে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া আড়াইশ আর্থিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও চ্যালেঞ্জার ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় এই লেনদেন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে।
অর্থ আদানপ্রদানে আইফোন ও আইপ্যাডে এনএফসি চিপ প্রযুক্তি রয়েছে। মারগ্রেথ ভেস্টাগের বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের তদন্তে যা জানা গেছে, তাতে অ্যাপলের এই প্রযুক্তি অন্যদের ব্যবহারে কোনো বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। আমাদের কাছে থাকা প্রমাণাদিতে স্পষ্ট, নিরাপত্তা উদ্বেগের অজুহাতে অ্যাপলের কার্যক্রমকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।