বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : Apple Watch ব্যান্ডে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে, যা ক্যানসারসহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে অ্যাপল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Apple Watch ব্যান্ডে ক্ষতিকর রাসায়নিকের অভিযোগ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, Apple Watch-এর ব্যান্ড তৈরিতে Polyfluoroalkyl substances (PFAS) ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক’ হিসেবে পরিচিত। এই রাসায়নিক শরীরে দীর্ঘদিন থেকে গিয়ে ক্যানসার, কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি এবং প্রজননজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারের ২২টি স্মার্টওয়াচ ব্যান্ডের মধ্যে ১৫টিতেই এই ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে। মূলত ব্যান্ডকে ওয়াটারপ্রুফ ও টেকসই করার জন্য এই উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে এই ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার গোপন করেছে। Ocean, Nike Sport ও Sport Series ব্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে অভিযোগ উঠেছে। তবে অ্যাপল দাবি করেছে, তারা Fluoroelastomer নামক সিন্থেটিক রাবার ব্যবহার করে, যা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধির মানদণ্ড মেনে তৈরি।
অ্যাপলের বক্তব্য
অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের Watch ব্যান্ডে ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক নেই এবং এটি স্বাধীন গবেষণাগারে কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে মামলাকারীরা বলছেন, অ্যাপল তথ্য গোপন করেছে এবং গ্রাহকদের ভুল তথ্য দিয়েছে।
গ্রাহকদের মনে উদ্বেগ
Apple Watch সাধারণত স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এখন এই ডিভাইসই ব্যবহারকারীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ফলে টেক দুনিয়ায় অ্যাপলের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, অ্যাপল কীভাবে গ্রাহকদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।