জুমবাংলা ডেস্ক : জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রের আবেদন পেয়ে তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর খোরশেদ আলম। আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাব্বি খান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ইরাজ রব্বানী, বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাব্বির হোসেন ও রসায়ন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাইমুন ইসলাম।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা জানান, ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে আসার পর ছাত্রলীগ কর্মী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত এবং তার সহযোগীরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেন। তাতেও তারা ক্ষ্যান্ত হননি। তারা ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন মেসে অবস্থান নেওয়া ছাত্রদের হুমকি দিচ্ছেন। গভীর রাতে দলবল নিয়ে সিফাত এ ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। সিফাতের হুমকির কারণে তারা জীবন নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন। এমনকি ঠিকমতো ক্লাসও করতে পারছেন না তারা। এতে করে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, গত রবিবার বিকালে তাদের আবেদন পাওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান এবং ছাত্র উপদেষ্টাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে আবেদনকারীদের ক্লাস ও পরীক্ষায় কোনও ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি যাতে না হয় সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওযা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত। তিনি বলেন, আবেদনকারীরা অভিযোগ করেছে কোরবানির বন্ধের পর তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু ওই সময়ের পর থেকে ক্যাম্পাসে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্টের চক্রান্ত হিসেবে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র সমর্থিত দুটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর সমর্থিত গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন বাকী ও রক্তিম এবং মেয়র গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সিফাত।
সর্বশেষ গত ৫ জুলাই রাতে এ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের সাত জন আহত হন। এরা শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালান মেয়র পক্ষের কর্মীরা। এদিকে বরিশাল বিশ্বব্যিালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেখানে ছাত্রলীগের কোনও কমিটি গঠিত হয়নি।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট রসায়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী একইভাবে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।