আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোনার খনি মানেই দুর্নীতির আশঙ্কা থাকে। আর সেই আশঙ্কা দূর করতে স্বর্ণখনিতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে আফগানিস্তান সরকার। এ নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ জন আলেম-হাফেজকে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে আফগানিস্তান চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড মাইনস। খবর তোলো নিউজ।
আফগানিস্তানের খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় (এমওএমপি) সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বাঘলান প্রদেশে কারা জাগান সোনার খনিতে সার্বিক নজরদারির কাজে ১০ জন আলেম ও হাফেজ নিয়োগ দিয়েছেন। তাদেরকে খনির কাজে নিয়োজিত লোকদের মনিটরিং এবং সেখানকার দুর্নীতি প্রতিরোধ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের জন প্রতি ১৫ হাজার আফগানি বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এমওএমপি আগেই দাবি করেছিল, আফগানিস্তানে খনি উত্তোলনে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা রয়েছে।
এমওএমপির বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, সোনার খনির সমস্ত প্রযুক্তিগত কাজ অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ এবং প্রকৌশলী দ্বারা পরিচালিত হবে। সদ্য নিযুক্ত আলেম-হাফেজরা খনির প্রযুক্তিগত কাজে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না।
এ বিষয়ে আফগানিস্তান চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড মাইনসের প্রধান সাখি আহমেদ পাইমান বলেন, স্বর্ণখনি পর্যবেক্ষণ করার জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরা আমাদের কাজে সৎ আফগানিদেরকে স্বাগত জানাই, হাফেজ বা আলেম হলে তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে স্বর্ণখনির মতো একটি স্পর্শকাতর জায়গায় আলেম-হাফেজদের নিয়োগে নানা ধরনের মতামত দেন অর্থনীতিবিদরা। আবদুল জাহোর নামের এক অর্থনীতিবিদ বলেন, বিশেষজ্ঞদের কাজ নিরীক্ষণের জন্য ভিন্ন লোক নিয়োগ করা হলে তাতে খরচ অনেকখানি বেড়ে যায়। কোনো কোনো সময় বিষয়টি প্রকল্পের বাস্তবায়নের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে এক্ষেত্রে সতর্ক পদক্ষেপ বাঞ্ছনীয়।
অন্যদিকে শামস রহমান আহমদজাই নামের এক অর্থনীতিবিদ বলেন, স্বর্ণখনির দুর্নীতি বন্ধে আলেম-হাফেজ নিয়োগের বিষয়টি ভালোই হয়েছে। কারণ তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত হবে না, ঘুষ নেবে না। ফলে দুর্নীতি দূর করার কাজটি তাদের দিয়েই ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।