আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে সরকারি কর্মকর্তা পুজা খেদর। তিনি ২০২৩ ব্যাচের একজন আইএএস কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে অসামঞ্জস্য সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে আছে জুনিয়র এই কর্মকর্তার ৫টি প্লট এবং দুটি এপার্টমেন্ট। এর মোট মূল্য প্রায় ২২ কোটি রুপি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, পুজা একজন ট্রেইনি আইএএস কর্মকর্তা। প্রশিক্ষণার্থী পুজা তার ইউপিএসসি প্রার্থিতা দাবি করে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন। তার ভিতরেই এসব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি ২০২৩ সালে তার স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি আপডেট করা হয়েছে।
সেই তথ্য হাতে এসেছে এনডিটিভির। তাতে দেখা গেছে এই জুনিয়র কর্মকর্তা মহারাষ্ট্রে ৫টি প্লটের মালিক। আছে দুটি এপার্টমেন্ট। ঘোষণা অনুযায়ি তিনি পুনের মহালাঙ্গে দুটি প্লটের মালিক। এর দাম প্রায় ১৬ কোটি রুপি। একটি প্লট আছে পুনের ধাদাওয়ালি জেলায়। এর মূল্য ৪ কোটি রুপি। দুটি প্লট আহমেদনগরের পাচুন্দে এবং নান্দুরে। তার মূল্য যথাক্রমে ২৫ লাখ এবং এক কোটি রুপি। এর মধ্যে পাচুন্দে এবং নান্দুরের প্লট তাকে উপহার দিয়েছেন তার মা। সব মিলে তিনি কমপক্ষে ২২ একর জমির মালিক। আহমেদনগর এবং পুনেতে আছে তার ওই দুটি এপার্টমেন্ট। আহমেদনগরের সাবেদিতে ৯৮৪ বর্গফুটের একটি ফ্লাট আছে। এর মূল্য ৪৫ লাখ রুপি। পুনের কোন্দওয়াতে ৭২৪ বর্গফুটের একটি ফ্লাট আছে। তার মূল্য ৭৫ লাখ রুপি। এসব সম্পদ তিনি অর্জন করেছেন ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। এসব সম্পদ থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৪২ লাখ রুপি। পুনের আরটিআই অধিকারকর্মী বিজয় কুম্ভারের মতে, পুজার পিতার সম্পদ ছিল ৪০ কোটি রুপির।
মিস পুজা ওবিসি নন-ক্রিমি লেয়ার প্রার্থী হিসেবে তার ইউপিএসসি প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। মহারাষ্ট্রে ওবিসি নন-ক্রিমি লেয়ার প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতা হলো আবেদনকারীর পিতামাতা বা পরিবারের বছরে আয় ৮ লাখ রুপির বেশি হতে পারবে না। সর্বভারতীয় ৮৪১ নম্বার র্যাংকে থাকা পুজা দৃষ্টি ও মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু তার এই অক্ষমতার দাবি বাধ্যতামূলক মেডিকেল টেস্ট করানো হয়নি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন এই আইএএস কর্মকর্তার বিষয়ে, তার প্রার্থিতা এবং অন্যান্য বিষয়ে যাচাই করতে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি প্যানেল গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা।
২০২৩ ব্যাচের এই আইএএস কর্মকর্তা বর্তমানে দুই বছরের শিক্ষানবীস পর্যায়ে আছেন। অভিযোগ আছে তিনি একটি লাল-সবুজ বাতি ব্যবহার করেন, ভিআইপি নাম্বার প্লেট ব্যবহার করেন। প্রাইভেট গাড়ি অডি সেডানে ‘গভর্নমেন্ট অব মহারাষ্ট্র’ স্টিকার ব্যবহার করেন। এত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ওয়াশিমে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি শুক্রবার সকালে বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো কথা বলা সরকারি আইন আমাকে অনুমতি দেয়নি। সরি, আমি কথা বলতে পারবো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।