জুমবাংলা ডেস্ক : জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির দুটি প্রস্তাবসহ ৫ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৬৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি বলেন,আজকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ২৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৬৮২ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ৬৮০ টাকা।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২০তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা থেকে ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য ২১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি’র (পিপিসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড, সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৭৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২১তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা থেকে ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য ২১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি’র (পিপিসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর-এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪.৯৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৪০ টাকা।
সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি কর্তৃক মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে টিএসপি সার আমদানি করা হয়। ইতিপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লেখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন টিএসপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে সর্বমোট ১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৯ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সার ৩৯৩ মার্কিন ডলার। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে টিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি হয়ছে ১.৪৫ লাখ মেট্রিক টন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে ৭ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সৌদিআরব থেকে ৭ম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে সর্বমোট ২ কোটি ১৭ লক্ষ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মে. টন ডিএপি সার ৫৪২.৫০ মার্কিন ডলার। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ১১ লাখ মে. টন। এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২.৮০ লাখ মে. টন।
তিনি বলেন, বরিশাল (দিনেরারপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি সড়কে পান্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি । প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। সবগুলি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৭৪ হাজার ৬০ হাজার টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।