বিনোদন ডেস্ক : ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা অভিনেতা জিয়াউল হক অপূর্ব ও আফরান নিশো। বাস্তব জীবনে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা কারোই অজানা নয়। বিভিন্ন সময়েই দুই বন্ধুর খুনসুটি, ভালোবাসার বিষয়গুলো উপভোগ করেছেন ভক্তরাও।
তবে সেই সম্পর্কে নাকি ফাটল ধরেছে! অনেকদিন ধরেই তাদের একসঙ্গে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। না বাস্তব জীবনে, না সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি আগের মতো নাকি এখন যোগাযোগও নেই এই দুই তারকার মাঝে।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন অপূর্ব নিজেই। কিন্তু একসময়ের ভালো দু’জন বন্ধুর মাঝে এখন কেন যোগাযোগ বন্ধ?
অপূর্বের ভাষায়, ‘আমাদের একটু মান–অভিমান চলছে। অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলি না। বন্ধুত্বের মধ্যে আসলে শেয়ারিংটা হয়। বন্ধুত্বে আস্থা, বিশ্বাসটা সব থেকে বেশি থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে, আমাদের সেই শেয়ারিংটা কম।’
এর পেছনের কারণটাও জানালেন এই অভিনেতা। অপূর্বর জন্মদিনে নিশোর কোনো শুভেচ্ছাবার্তা না জানানো থেকেই নাকি দু’জনের মাঝে দূরত্বের শুরু। বিষয়টি খোলাসা করেছেন অপূর্ব নিজেই।
অভিনেতার কথায়, ‘বিষয়টা মনে হতে পারে খুবই সিলি (অর্থহীন)। স্বাভাবিকভাবে যেখানে হয়তো আমি শুভকামনা জানাই, সেখানে ওর মনে থাকবে না! ওর চোখের সামনে আমার জন্মদিনের খবরটা আসবে না, এটা তো হয় না। ও কোনো এক্সকিউজ দিলেও তো হবে না। বিষয়টা এমনও না, ভুলে গেছি। বিষয়টা অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। আসলে আমার একটা প্রবলেম হচ্ছে, আমি অনেক সময় বড় বড় বিষয় এড়িয়ে যাই। তারপর ভাবতে থাকি যে ইট ডাজেন্ট ম্যাটার। অসুবিধা নাই। হয়তো ভুল হয়ে গেছে। এটা এমন আর কী। কিন্তু কিছু কিছু সময় খুব ছোটখাটো জিনিস আমি ধরে ফেলি আরকি। এই বিষয়টাও ও রকম। অনেকে হয়তো এটা বলতে পারে, এটা খুবই শিশুসুলভ আচরণ। সামান্য একটা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে…। তাছাড়া এটা কিন্তু একবার হয়নি। বেশ অনেকবারই হয়েছে। ও (নিশো) যতই পাগলাটে ভাব ধরুক, আর যাই হোক না কেন, জাতে মাতাল তালে তো ঠিক তুই, নিশো। যা–ই হোক, বাদ দিই।’
উল্লেখ্য, ছোট পর্দার ইন্ডাস্ট্রিতে নিশোর অনেক আগেই তারকা হয়েছেন অপূর্ব। তবে গত অর্ধ দশকের পরিসংখ্যানা তাকালে নিশোর দাপটের বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়। গুঞ্জন রয়েছে, জনপ্রিয়তার এই লড়াইয়ের কারণেই বন্ধুত্বের আড়ালে তাদের মধ্যে নির্বাক প্রতিযোগিতা বিদ্যমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।