বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তির দুনিয়ায় শুরু হয়েছে এক নতুন আলোচনার ঝড়—স্মার্টফোন কি ইতিহাস হতে চলেছে? বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রযুক্তি বিশ্বের চার মহারথী—ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ, স্যাম অল্টম্যান ও বিল গেটস। তাদের ভবিষ্যদ্বাণী বলছে, স্মার্টফোনের জায়গা নিচ্ছে আরও অত্যাধুনিক ও মানবদেহঘনিষ্ঠ প্রযুক্তি। তবে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক।
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিঙ্ক ইতিমধ্যে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা চালিয়েছে। মাস্ক মনে করেন, ভবিষ্যতে আমরা স্মার্টফোন ছাড়াই, কেবল চিন্তার মাধ্যমেই যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
শরীরেই প্রযুক্তি, ফোনের দরকারই নেই?
বিল গেটস বিনিয়োগ করছেন এমন এক “ইলেকট্রনিক ট্যাটু” প্রযুক্তিতে, যা মানবদেহে বসানো যাবে। এই ডিভাইস শরীরের ভেতরের তথ্য সংগ্রহ করে পাঠাতে পারবে এবং অনেকটা স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবেই কাজ করবে।
জাকারবার্গের দৃষ্টিতে ভবিষ্যৎ
মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে স্মার্টফোনের জায়গা নেবে অগমেন্টেড রিয়ালিটি (AR) গ্লাস। তার ভাষায়, “এই গ্লাস দিয়েই মানুষ ভিডিও দেখবে, কথা বলবে, এমনকি কাজও করবে—হাত ছাড়াই।”
স্যাম অল্টম্যানের এআই দৃষ্টিভঙ্গি
ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যান মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা এজেন্টই হবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি মুখ। যেখানে মানুষের প্রশ্ন বুঝে, প্রেক্ষিত বিশ্লেষণ করে, কাজ করে দেবে বুদ্ধিমান সফটওয়্যার—স্মার্টফোনের প্রয়োজনই থাকবে না।
টিম কুক বলছেন, ‘এখনই নয়’
অ্যাপল সিইও টিম কুক মনে করেন, স্মার্টফোন হারিয়ে যাবে—এমন ভবিষ্যৎ এখনই আসছে না। বরং নতুন প্রযুক্তি স্মার্টফোনকে আরও শক্তিশালী সঙ্গী করে তুলবে। যেমন, সদ্য ঘোষিত আইফোন ১৬-এ যুক্ত হয়েছে নতুন এআই ফিচার, যা ডিভাইসটিকে আরও দক্ষ করে তুলেছে।
তাহলে কি স্মার্টফোন অতীত হতে চলেছে?
প্রযুক্তির দিগন্তে নতুন নতুন সম্ভাবনা। কিন্তু স্মার্টফোন কি হারিয়ে যাবে নাকি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও স্মার্ট রূপে ফিরে আসবে? উত্তর লুকিয়ে আছে প্রযুক্তির আগামী অধ্যায়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।