আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতার জানিয়েছে একটি নতুন চুক্তিপত্র তারা তৈরি করেছে। হামাসকে তা দেওয়া হবে। সংঘর্ষ-বিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তির ফর্মুলা আছে সেখানে। প্যারিসে আমেরিকা, কাতারের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা বৈঠক চলছে। সেখানে ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত আছে। খবর ডয়চে ভেলের।
কীভাবে যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করা যায় এবং পণবন্দিদের মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। রোববার সেই আলোচনা ভেস্তে গেলেও সোমবার ফের তা নিয়ে নতুন ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছে।
কাতার জানিয়েছে, নতুন চুক্তিপত্র তারা হামাসের হাতে তুলে দেবে। হামাস তারপর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, দুইপক্ষের সঙ্গেই আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তার আশা, হামাস এই চুক্তিপত্র মেনে নেবে এবং সেইমতো ব্যবস্থা নেবে।
বস্তুত, প্যারিসের এই বৈঠকে কাতার, অ্যামেরিকা, মিশর এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা আছেন। হামাস সরাসরি কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। সিদ্ধান্ত তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। হামাস তা পড়ে নিজেদের মতামত জানাচ্ছে।
নতুন চুক্তিপত্রে কী আছে, তা এখনো স্পষ্ট করেনি কাতার। তবে দুইটি বিষয় নিয়ে লাগাতার আলোচনা চলছিল। প্রতিটি দেশই ইসরায়েলের উপর সংঘর্ষ-বিরতিতে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। দুই মাসের একটি সংঘর্ষ বিরতির কথা তারা বলছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের বক্তব্য, আরো অন্তত একশ জন পণবন্দিকে ছাড়তে হবে। নতুন চুক্তিপত্রে এই দুইটি কথাই আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, হামাস এর কী উত্তর দেয়।
তেল আভিভে বিপদ সাইরেন প্রায় এক সপ্তাহ পর বেজেছে। ৭ অক্টোবরের হামলার পর তেল আভিভে বিপদসংকেত বহুদিন পর্যন্ত জারি ছিল। তবে গত কয়েক সপ্তাহ সেখানে কোনো আক্রমণ হয়নি। সোমবার বহুদিন পর সেখানে সাইরেন বাজলো। সিটি সেন্টারের কাছে রকেট আক্রমণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিপিএ সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, অন্তত একডজন রকেট তেল আভিভ লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বস্তুত, ক্ষয়ক্ষতির খবরও বিশেষ কোনো খবর মেলেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।