বিনোদন ডেস্ক : অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে থরে থরে সাজানো টাকা। এমনকী, তাঁর বাড়ির শৌচালয় থেকেও পাওয়া গিয়েছে টাকা। এবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তথ্য সামনে এল। জানা যাচ্ছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত রয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঠিক কী জানা যাচ্ছে? রইল বিস্তারিত আপডেট
বাড়িতে টাকার পাহাড়! অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ির সংগ্রহও চোখ ধাঁধানো। অডি, মার্সিডিজ থেকে শুরু করে কী নেই সেখানে। কিন্তু, সেই অর্পিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে? এই নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। সূত্রের খবর, অর্পিতার তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ED। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে ২ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সেখানেও কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ED-র তরফে এই তথ্য জানানো হয়নি। তবে অর্পিতার তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ফ্রিজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ করুণাময়ীকে ডায়মন্ড সিটি সাউথের আবাসন থেকে চারটি দামী গাড়ি বিপাত্তা। এই গাড়িগুলির বাজারমূল্য কয়েক কোটি বলেই জানা যাচ্ছে। এই গাড়ির তালিকায় রয়েছে অডি এ৪ (গাড়ির নম্বর WB02ab9561), হন্ডা সিটি (গাড়ির নম্বর WB06t6000),হন্ডা সিআরভি (গাড়ির নম্বর WB06t6001) এবং মার্সিডিজ বেঞ্জ (গাড়ির নম্বর WB02ae2232)।
তাঁর টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তাঁর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে আরও টাকা এবং সোনা উদ্ধার করেছে ED। যদিও অর্পিতা জেরায় দাবি করেছেন এই কোনও অর্থই তাঁর নয়। এই পুরো টাকা অন্যের। রুমের ওই কামরায় তাঁর প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
অন্যদিকে, জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা।
এদিন মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পার্থ এবং অর্পিতাকে জোকা ESI মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই গাড়ি থেকে নামার সময় চূড়ান্ত নাটকীয় দৃশ্য। কাঁদতে কাঁদতে রীতিমতো মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকেন তিনি। কাতর গলায় তিনি বলেন, “আর পারছি না।” অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। সবমিলিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা দাবি করেছেন, মেয়ের জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কোনওদিন মেয়ের থেকে এক টাকাও তিনি নেননি। একটি ভাঙাচোরা ঘরে জীবনযাপন করেন তিনি। মেয়ের কর্মফল ভোগ করতে হচ্ছে, হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে জবাব তাঁর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।