জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন এ আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ জুন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ওই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত এ মামলা পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ৪৯৩ ধারা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ সময়ও তিনি অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে, এরআগে ওই কলেজছাত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ২০২১ সালে বাসাইলের ইউএনও মো. মনজুর হোসেনের সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়।
বিয়ের কথা বলে ইউএনও তার সরকারি বাসভবনে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পারিবারিকভাবে তার (ছাত্রীর) বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক হলে, তিনি (ছাত্রী) বিয়ের জন্য ইউএনওকে বলতে থাকেন। ইউএনও বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন এবং টাঙ্গাইল শহরের পাওয়ার হাউসের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসায় তারা দুই মাস থাকেন।
এ ছাড়াও গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল হয়ে তাকে (ছাত্রীকে) নিয়ে ইউএনও ভারতে যান। সেখানে থাকার সময় তার মুঠোফোন থেকে দুজনের ভিডিও এবং কথোপকথন মুছে ফেলেন ইউএনও। ভারতে ১২ দিন অবস্থানের পর ৫ অক্টোবর তারা দেশে ফিরে আসেন। তারপর থেকে ইউএনও তাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নিদের্শ দেন। পরে জেলা প্রশাসন গত বছরের ৭ এপ্রিল ওই কলেজছাত্রী, সাবেক ইউএনও মো. মনজুর হোসেন, তার গাড়িচালক বুলবুল মোল্লাসহ ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আদালতে আজ এ মামলার বাদীর সাক্ষী গ্রহণ করেছেন। ওই সময় বিবাদী মনজুর হোসেন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ২০২২ সালের ২১জুন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।। এরআগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইউএনও মো. মনজুর হোসেনকে বাসাইল থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলেজছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে ও মন্ত্রিপরিষদের তদন্তের তার দোষ প্রমানিত হওয়ায় মনজুর হোসেনের সাময়িক বরখাস্থ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।